সিস্টার অ্যান্ড্রে (Photo Credits: @Sachinettiyil/ Twitter)

লুসি ব়্যান্ডন, ১৯৪৪ সালে সন্ন্যাস নেওয়ার পর যিনি সিস্টার অ্যান্ড্রে (Sister Andre) হিসেবে সমধিক পরিচিত হন। মহা ধুমধামে উদযাপন হল তাঁর জন্মদিন। ১১৬ বছর বয়সি সিস্টার অ্যান্ড্রে এবার করোনাকে হারিয়ে বেঁচে ফিরেছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি মারণ রোগ করোনার ভয়কে দূর করে এখনও জীবিত রয়েছে। তিনি দৃষ্টিশক্তি হীন এবং হুইল চেয়ারেই সময় কাটান। তবে করোনা আক্রান্ত হয়েও ভয় পাননি তিনি। বরং সাহসের সঙ্গে রোগের মোকাবিলা করেছেন। আগামী কাল ১১ ফেব্রুয়ারি ১১৭-তে পদার্পণ করবেন সিস্টার অ্যান্ড্রে। এই জন্য ১১৬ বছর বয়সী ফরাসি নানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সিস্টার অ্যান্ড্রের আগে স্পেনের মারিয়া ব্রানিয়াস করোনাকে হারিয়ে জিতেছেন। তাঁর বয়স ১১৩। আরও পড়ুন-Fuel Prices Today: কলকাতায় ১ লিটার পেট্রোল মিলছে ৮৮.৯২ টাকায়, বুধবার দেশের মেট্রো শহরগুলিতে ফের বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্বে ১১০ বছরর ঊর্ধ্বে থাকা নাগরিকদের তালিকার তত্ত্বাবধানে রয়েছে জেরেনটোলজি রিসার্চ গ্রুপ। এই তালিকায় সিস্টার অ্যান্ড্রে হলেন বিশ্বের দ্বিতীয় বয়স্ক মহিলা। ফরাসী সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারির মাঝামাঝি করোনায় আক্রান্ত হন সিস্টার অ্যান্ড্রে। ফ্রান্সের তৌলন শহরের বাসিন্দা তিনি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি নিজে থেকেই আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলেন। তবে এই প্রবীণার কোনওরকম উপসর্গ ছিল না। বলা বাহুল্য, করোনা আক্রান্ত হয়েও তিনি অসুস্থতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করেননি। বরং তাঁর অভ্যেস নিয়ে কথা বলেছেন। করোনা নিয়ে কোনও ভয় তিনি পাননি। অন্যান্য় বাসিন্দাদের নিয়েও তিনি বেশ চিন্তিত ছিলেন।

১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিস্টার অ্যান্ড্রে জন্মগ্রহণ করেন। জিআরজি রিপোর্ট অনুসারে তিনি ইউরোপের সবথেকে প্রবীণ নাগরিক। এবং বিশ্বের দ্বিতীয় প্রবীণ নাগরিক।