বিশ্বের কোথায় কখন কি ঘটছে তা যদি খবরে নাও আসে তাতে কোনও অসুবিধা নেই। সেসবের জন্য তো আমাদের হাতের কাছে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে চোখ রাখলেই জানতে পারবেন খবরের বাইরে থাকা খবরগুলিকে। সেখানে অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নানারকম তথ্য আসতে শুরু করেছে। অসমের বেশিরভাগ জেলাই এখন বন্যাপ্লাবিত হওয়ায় প্রায় ৯ লক্ষ বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে একঠি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে গলা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া জলে হাত উঁচুকে হরিণ ছানাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে (boy Saved Deer Fawn) এক কিশোর। সেই ছবি ভাইরাল হতেই ওই খুদেকে ‘অসমের প্রকৃত বাহুবলী’ আখ্যা দিয়েছে নেটিজেনরা।
নিজে গলা জলে প্রায় ডুবতে বসেছে। তবে তার মদ্যেও হরিণ ছানাকে বাঁচাতে হাত উচুঁ করে ওই জলের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে চলেছে ছেলেটি। বলা বাহুল্য ছবিটি সত্যি হলেও তা অসমের বন্যার চিত্র নয়। এটি বছর ছয়েক আগের বন্যাপ্লাবিত বাংলাদেশের ঘটনা। তিনটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। একটি হল হরিণ ছানাকে উদ্ধার করছে ওই খুদে। আর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাত উঁচু করে হরিণ ছানার জীবন বাঁচাতে প্রায় ডুবতে বসেছে ছেলেটি। তৃতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে হরিণ ছানাকে বাঁচিয়ে ফেলেছে সে। এই ছবির জনপ্রিয় সিনেমা বাহুবলীর দৃশ্যকে মনে করিয়ে দেয়। এই ঘটনায় নেটিজেনরা ওই খুদেকে প্রশংসায় ভরিয়ে তুলেছে। মন ভাল করে দেওয়া ঘটনা হলেও ছবিটি কি সত্যি বন্যাপ্লাবিত অসমের?
Real "Bahubali" of #Assam who saved a fawn from drowning. pic.twitter.com/Wrm1Dppohk
— Rakshith Shivaram/ರಕ್ಷಿತ್ ಶಿವರಾಂ (@bkrs100) July 18, 2020
না, ছবিটি ২০১৪-তে হওয়া বাংলাদেশের বন্যার সময়কার। তবে তারপর থেকে যখনই বন্যা হয়েছে। তখনই এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার ও ভাইরাল হয়েছে। সাত হাজার রিটুইট হয়েছে। নেটিজেনদের অনেকেই বলেছেন এই ছবি অসমের বন্যার নয়। ২০১৪-র বাংলাদেশের বন্যার নোয়াখালির ঘটনা এটি। বন্যার জেরে হরিণ ছানাটি মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নোয়াখালির স্থানীয় কিশোর বেলাল সেদিন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবন্ত হরিণ ছানাটির প্রাণ বাঁচিয়েছিল। পরে মা হরিণের কাছে তাকে ফিরিয়েও দিয়েছিল বেলাল নামের ছেলেটি। ডেইলি মেলে খবরটি সেসময় প্রকাশিত হয়। তাই এমন ছবি শেয়ার করার আগে তার সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।