কলকাতা: মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর বিশ্ব জুড়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস (World Mental Health Day) পালন হয়। গবেষণা রিপোর্ট বলছে, কোভিড-১৯ মহামারীর পর মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। শুধু বড়দের মধ্যেই নয়, শিশুদের মধ্যেও মানসিক রোগের প্রভাব বেড়েছে। ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ১৪ শতাংশ শিশু বিষন্নতায় ভুগছে।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস
১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর প্রথমবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন হয়। প্রাথমিকভাবে এই বিশেষ দিবসের কোনো নির্দিষ্ট থিম ছিল না। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন বৃদ্ধি করা। পরবর্তীতে এই দিবসের থিম হয় 'বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নত করা।' আরও পড়ুন : World Heart Day 2023: বিশ্ব হার্ট দিবসে নিজের ও প্রিয়জনের যত্ন নিন, জানুন দিনটির তাৎপর্য
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের গুরুত্ব
করোনা মহামারীর সময় বিশেষভাবে প্রমাণ হয়েছে যে, আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শারীরিক স্বাস্থ্য আমাদের মানসিক স্বাস্থে প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ছোটখাটো সমস্যাগুলো একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করা এবং সেগুলোর সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে আমরা সময়মতো সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই কয়েক বছরে মানুষ অনেক বেশি পরিমাণে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বও উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীতে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ আত্মহত্যা।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সোশ্যাল সাইকিয়াট্রির একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের ২৫ শতাংশ মানুষ মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতায় ভুগছেন। এছাড়াও ইউনিসেফের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে প্রায় ১৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরী কোনও না কোনও কারণে হতাশায় ভুগছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের সকলকে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।