শীতকাল প্রায় সকলেরই পছন্দের একটা ঋতু। শীতের কুয়াশা মাখা সকাল, ঘাসে পড়ে থাকা শিশির, নানা রকমের মরশুমি ফুল, সব মিলিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য আলাদাই রূপ নেয়। তবে শীতকাল চোখ ও মনকে আনন্দ দিলেও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। ঠান্ডা বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে, যার জেরে ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরোয়া উপায়ই পারে ত্বকের সঠিক যত্ন করতে। আসুন জেনে নিই কোন কোন সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি আপনার ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন।

ঠান্ডার দিনে সাধারণত আমরা জল কম পান করি। এর ফলে আমাদের ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি হয়। তাই শীতকালে বেশি করে জল পান করা উচিত, যা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ের মানুষ এত ব্যস্ত থাকেন যে নিজের যত্ন নেওয়ার সময়টুকুও পান না। যার কারণে ঠাণ্ডা বাতাসে মুখ ও ত্বকের পাশাপাশি শীতকালে ঠোঁট ও হাত-পায়ে ফাটল ধরতে দেখা যায়। নারিকেল তেল অথবা সরিষার তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই স্নান করার পর অথবা রাতে ঘুমানোর আগে এই তেল ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

দুধের ক্রিম মুখের জন্য খুব ভালো, এতে উচ্চ পরিমাণে আর্দ্রতা রয়েছে। শীতকালে দুধের ক্রিম মুখে লাগিয়ে, ১০ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া মুখে উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন মসুর ডাল। ১ বাটি দুধে ২ চামচ মসুর ডাল মিশিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপরে এটিকে পিষে মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এবং আর্দ্রতাকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

এছাড়া মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বেসন খুব জনপ্রিয় একটি উপকরণ। ১ চামচ বেসন, সামান্য একটু হলুদের গুঁড়া, তার সঙ্গে দুধ এবং দুধের ক্রিম ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর ১০-১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে সমস্ত ঘরোয়া উপায় সন্ধ্যায় বা তার পর করা হলে বেশি কার্যকর হয়। সকালে ধুলো এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ভালো ফল পেতে সমস্ত ঘরোয়া উপায় সন্ধ্যার পর করুন।