নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতার করেন একটি নতুন গবেষণা। এর মাধ্যমে জানা গিয়েছে, মানব অণ্ডকোষে পাওয়া যাচ্ছে ১২ ধরনের মাইক্রোপ্লাস্টিক। ২০১৬ সালের পোস্টমর্টেম থেকে বিশ্লেষণ করা হয় অণ্ডকোষের, এই মৃত পুরুষদের বয়স ছিল ১৬ থেকে ৮৮ বছরের মধ্যে। মাইক্রোপ্লাস্টিক হল ৫ মিলিমিটারের কম আকারের ছোট প্লাস্টিকের কণা, বড় প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষের ভেঙে তৈরি হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক। পরিবেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক, যা সমুদ্র, নদী এবং মাটিকে দূষিত করছে।
মানবদেহে বিভিন্নভাবে প্রবেশ করছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। প্রাথমিকভাবে দূষিত খাদ্য ও পানীয় জলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করছে মাইক্রোপ্লাস্টিকস। মাইক্রোপ্লাস্টিকের আকার ছোট হওয়ায় ফিল্টার করার পরও জল থেকে বের করা বেশ কঠিন। মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের জন্য হয়ে উঠেছে ক্ষতিকর। দূষিত পরিবেশের কারণে সামুদ্রিক খাবার, লবণ, পানীয় জল, ফল ও সবজিতে মিশে যাচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এছাড়া যেই বাতাস থেকে শ্বাস নেওয়া হয় সেখানেও রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক একবার শরীরে প্রবেশ করার পর জমা হতে পারে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট এবং ফুসফুসে।
মাইক্রোপ্লাস্টিক অর্থাৎ ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণাগুলো মানব অঙ্গগুলিতে জমা হয়ে সম্ভাব্য প্রদাহ এবং সেলুলার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে জানা গিয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক অন্তঃস্রাব প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটতে পারে। এছাড়া ক্যান্সার, প্রজনন সমস্যা এবং বিকাশজনিত সমস্যার দেখা দিতে পারে। মাইক্রোপ্লাস্টিক অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটাকে আঘাত করার কারণে হজম এবং অনাক্রম্যতা নষ্ট করতে পারে। এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার এবং স্নায়বিক ব্যাধি সহ দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরিবেশ থেকে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে।