পৃথিবীতে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ আছে যারা বাম হাতে কাজ করে। এই মানুষদের যেমন অনেক গুণ রয়েছে, তেমনই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। বামহাতিদের মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি হয় যে বামহাতি হওয়ার কারণে তাদের চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশীলতাকে প্রভাবিত করে। এই কারণে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। কিছু রোগের ঝুঁকি থাকে বামহাতিদের। চিকিৎসকদের মতে, বামহাতিদের অন্যদের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
বামহাতি মানুষের মানসিক এবং শারীরিক গঠন ভিন্ন হওয়ার কারণে তাদের উদ্বেগ বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ভিন্ন হতে পারে। তবে এবিষয়ে পরিষ্কারভাবে বোঝা না গেলেও দেখা গেছে বামহাতিরা উদ্বেগ-বিষণ্নতা বা নার্ভাসনে ভুগতে পারে এবং এর কারণ জেনেটিক, সামাজিক ও পরিবেশগত হতে পারে। অনেক সময় বামহাতিদের দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেশি দেখা গেছে। এছাড়া অনেক জায়গায়, বিভিন্ন জিনিস শুধুমাত্র ডান হাতের মানুষদের জন্য ডিজাইন করা হয়, এই সমস্ত জায়গায় বামহাতিদের সমস্যা হয়।
বিজ্ঞানীদের মতে, বামহাতি হওয়ার পেছনে ২৫ শতাংশ অবদান রয়েছে জিনের। এছাড়া গর্ভাবস্থায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও সন্তান বামহাতি হতে পারে। বাম হাতের অভ্যাসটি শৈশব থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধির সময়ও তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বামহাতিরা তাদের বাম হাত দিয়ে কাজ করার অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারে তবে এটি সহজ নয়। যেহেতু তাদের অভ্যাস মস্তিষ্কের গঠন এবং বৃদ্ধির কারণে হয়, তাই তাদের পরিবর্তন করা কঠিন। বাম হাত দিয়ে কাজ করার অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিতে হয়, যেমন যতটা সম্ভব ডান হাত দিয়ে কাজ করার অভ্যাস তৈরি করা।