Credit: Instagram

ভারতের প্রতিটি কোণে রয়েছে অসংখ্য চা-কফি প্রেমী। বর্তমানে শুধু শীত থেকে আরাম পাওয়ার জন্যই নয়, প্রচণ্ড গরমেও গরম চা পান করতে পছন্দ করে মানুষ। চা কফি পান করার বিষয়ে ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। এই নির্দেশিকায় স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশনের (NIN) গবেষণা শাখার মেডিক্যাল প্যানেলের পরামর্শ অনুযায়ী, সীমিত করা উচিত চা এবং কফির ব্যবহার।

ভারতের একটি বৃহৎ জনসংখ্যার প্রিয় পানীয় হল চা বা কফি। আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, খাবারের আগে এবং পরে চা বা কফি পান করা নিষেধ করা হয়েছে। তবে গবেষকরা সম্পূর্ণভাবে চা ও কফি পান করতে নিষেধ করেননি। গবেষকদের মতে, চা ও কফিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন, যা প্রভাবিত করে মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, চায়ের মধ্যে থাকে ৩০-৬৬ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। এছাড়া এক কাপ কফিতে থাকে ৮০-১২০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন এবং ইনস্ট্যান্ট কফিতে থাকে ৫০-৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। শরীরে ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন প্রবেশ করা উচিত নয়, কারণ আমাদের শরীর সারাদিনে ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন সহ্য করতে পারে। এর থেকে বেশি ক্যাফেইন শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়ার কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে ও পরে এড়িয়ে চলা উচিত চা-কফি, কারণ চা-কফিতে উপস্থিত ট্যানিন নামক একটি যৌগ শরীরে আয়রন শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে পরিপাকতন্ত্রে খারাপ প্রভাব পড়ে এবং আয়রন রক্তে প্রবেশ করতে পারে না। হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হিমোগ্লোবিন গোটা শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করে। এছাড়া আয়রনের ঘাটতির জেরে শরীরে রক্তশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকে, শ্বাসকষ্ট ও ঘন ঘন মাথাব্যথা হয় এবং ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়।