জিকা ভাইরাস বিপজ্জনক মশাবাহিত ভাইরাস। এই ভাইরাস একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ার কারণে দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোনও এলাকায় কেউ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গোটা এলাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। সময়মতো জিকা ভাইরাসের চিকিৎসা না করালে তা হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যেও পাওয়া গিয়েছে জিকা ভাইরাস। পুনেতে এক মাসের গর্ভবতী মহিলার নমুনা পরীক্ষা করে পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস। তবে ওই গর্ভবতী মহিলার মধ্যে জিকা ভাইরাসের কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি, তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে কোনও গর্ভবতী মহিলা যদি জিকা ভাইরাসের শিকার হয়, তাহলে কি গর্ভের সন্তানের উপর এর প্রভাব পড়বে?

চিকিৎসকরা বলছেন, একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়াতে পারে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ, অর্থাৎ গর্ভবতী মহিলা কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে সেই ব্যক্তিও সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, গর্ভবতী মহিলার মধ্যে জিকা ভাইরাস থাকলে তা তার গর্ভে ধারণ করা সন্তানের কাছেও পৌঁছতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় যদি নির্ধারিত নিয়ম মেনে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়, তাহলে শিশুর সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। এই জন্য চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় গর্ভবতী মহিলাকে এবং আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে পেটে শিশুর কার্যকলাপের উপর নজর রাখা জরুরি। এই সময়কালে মায়ের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জিকা ভাইরাস যদি শিশুর কাছে পৌঁছে যায় তবে শিশুর স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। এতে শিশুর মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল মাথাব্যথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা, চোখে লালভাব। জিকা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাড়ির ভিতর এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। কোথাও বেশিক্ষণ জল জমে দেওয়া চলবে না। গোটা শরীর ঢাকা থাকবে এমন জামা কাপড় পড়তে হবে। যেই এলাকায় কেউ আক্রান্ত হয়েছে সেখানে একদম যাওয়া উচিত নয়। এমন এলাকা যেখানে জিকা ভাইরাস সংক্রমণ রয়েছে সেখানে গর্ভবতী মহিলারা থাকলে, তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন না থাকায় সকল ব্যক্তির সতর্কতা অবলম্বন খুবই জরুরি।