কোনও দুর্ঘটনার পর সীমিত জিনিস ব্যবহার করে রোগীকে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে বলে প্রাথমিক চিকিৎসা। এরপর ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সময়মতো প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া জীবনের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে। এই প্রাথমিক চিকিৎসার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস। আহত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে জানা সকলের জন্য খুবই জরুরি। আহত মানুষ দেখতে পেলে আতঙ্কিত না হয়ে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা জানা জরুরি। প্রাথমিক চিকিৎসা সম্বন্ধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় শনিবার পালন করা হয় বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস।

২০০০ সালে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন দ্বারা প্রথমবার পালিত হয় বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস। এরপর থেকে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় শনিবার পালন করা হয় বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস। ২০২৪ সালে বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস পালন করা হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য হল মানুষের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রাথমিক চিকিৎসার সাহায্যে কীভাবে পরিবার এবং বন্ধুদের সাহায্য করা সম্ভব তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

শিশু থেকে বয়স্ক সকলের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত এবং বাড়িতে ও গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার কিট থাকা উচিত। যেকোনও খালি পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে তার উপরের অংশে লাল টেপ বা রঙ দিয়ে একটি ক্রস চিহ্নিত করা উচিত যাতে জরুরি অবস্থায় বাক্সটি সনাক্ত করতে কোনও সমস্যা না হয়। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা কিট হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেমন ব্যান্ড এইড, ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, জ্বর এবং মাথাব্যথার ওষুধ, ডায়রিয়ার ওষুধ, ব্যথা উপশম স্প্রে, বার্নল, অ্যান্টি অ্যাসিড, ডেটল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্রিম রাখতে হবে ওই বাক্সে।