
আলঝেইমার এমন একটি বিপজ্জনক রোগ যার কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে শুরু করে এবং মস্তিষ্কের আকার কমতে থাকে। সারা বিশ্বে দ্রুত বাড়ছে এই রোগ এবং চিন্তার বিষয় হল এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে আরও বেড়ে যায় এই রোগের ঝুঁকি। আলঝেইমার হলে ছোট ছোট জিনিসও মন থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক সময় স্নান করার মতো দৈনন্দিন কাজ, এমনকি বাড়ি ফেরার রাস্তাও মনে থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আলঝেইমার এক ধরনের ডিমেনশিয়া, যাতে চিন্তাভাবনা ও বোঝার ক্ষমতা কমে যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়। ডিমেনশিয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ শতাংশই আলঝেইমার। ৬৫ বছর বয়সের পরে, প্রতি ৫ বছরে আলঝেইমারের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়। পরিবারের কোনও ব্যক্তির আলঝেইমার হলে, আগামী প্রজন্মে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রথম পর্যায়ে আলঝাইমারের লক্ষণ দেখা যায় না। আলঝাইমার হলে ছোট ছোট জিনিস ভুলে যাওয়া শুরু হয়। একাগ্রতা এবং স্মৃতিশক্তির দুর্বল হয়ে যায়। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে আলঝাইমার।
আলঝাইমার হলে ধীরে ধীরে লিখতে ও কথা বলতে সমস্যা হয়, সময়, স্থান বা দিক সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এই রোগের কারণে কোনও জিনিস সঠিকভাবে সনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে যায়। চিন্তা করতে, বুঝতে বা সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়। ব্যক্তিত্ব এবং আচরণে পরিবর্তন। অনেক সময় পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই রোগীরা। আলঝাইমার থেকে দূরে থাকার জন্য ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ তাজা মরসুমি ফল খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া অ্যালকোহল এবং সিগারেট এড়িয়ে চলতে হবে। সব সময় মনকে সক্রিয় রাখা জরুরি। মর্নিং ওয়াক ও ব্যায়াম করা উচিত এবং একা থাকা একদমই উচিত নয়।