Credits: Flickr

শীতকালের আবহাওয়ার কারণে এই ঋতুতে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা। এই ঋতুতে, তাপমাত্রা প্রায়শই হ্রাস পায়, দিন ছোট এবং রাত দীর্ঘ হয়, যার ফলে জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। এই পরিবর্তনগুলি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। শরীরে উপস্থিত পুষ্টির উপরও প্রভাব ফেলে। শীতকালে রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। শীতকালে ম্যাগনেসিয়াম চাপ এবং উদ্বেগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীতকালে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডারে (এসএডি) ভুগলে, শরীরের খুশি হরমোন নামেও পরিচিত সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়িয়ে মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম।

কর্টিসল স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ম্যাগনেসিয়াম। পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম মেজাজ স্থিতিশীল করে শীতের মরসুমে সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে। শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম। এই মরসুমে সর্দি, কাশি, ফ্লু এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং ইমিউন সিস্টেমের উন্নতিতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম। এমন পরিস্থিতিতে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে সহজেই রোগের শিকার হতে পারে মানুষ।

শীতে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রায়ই বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অনেকাংশে সাহায্য করতে পারে ম্যাগনেসিয়াম। রক্তনালীগুলি খুলতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম, যা হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত করে। এছাড়া এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হার্টবিট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ম্যাগনেসিয়াম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রায়শই মানুষ নানা কারণে ঘুম পূর্ণ করতে পারে না। এমতাবস্থায়, ম্যাগনেসিয়ামের সাহায্যে, শীতের দীর্ঘ রাতে শান্তির ঘুম পাওয়া সম্ভব। মেলাটোনিন হরমোন যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে, তা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ম্যাগনেসিয়াম। এমন পরিস্থিতিতে ভালো এবং আরামদায়ক ঘুম পেতে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ম্যাগনেসিয়াম।