তথ্য এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক লেনদেন অংশ হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যবস্থার। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধের পাশাপাশি বহু ধরনের আন্তর্জাতিক বিরোধ ও মামলা আওতায় আসছে আন্তর্জাতিক বিচারের। এই জন্য প্রতিবছর ১৭ জুলাই বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার দিবস। দেশের বিভিন্ন সিমান্তের মধ্যে যেকোনও ধরনের বিরোধ, যুদ্ধাপরাধের শিকার, মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি।

১৯৮৮ সালের ১৭ জুলাই বিশ্বের অনেক দেশ একত্রিত হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা পরিচিত রোম সংবিধি নামে। বর্তমানে বিশ্বের এই চুক্তির অংশ হয়েছে ১৩৯টি দেশ। আইসিসির ন্যায়বিচার ক্ষেত্রের বিষয় হয় অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। বিশেষ বিষয় হল এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই অংশগ্রহণকারী দেশগুলির জাতীয় বিচার ব্যবস্থার। যেকোনও ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার জন্য একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বিশ্ব আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার দিবসকে বলা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ন্যায়বিচার দিবস বা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার দিবস। ন্যায়বিচারকে সমর্থন করা ব্যক্তিরা এই দিন একত্রিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য বিদ্যমান আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার কাজ করে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনকারী মামলার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য বিচার পরিচালনা করে আইসিসি। এটি একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রতিষ্ঠান, এতে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো মামলার বিচার করা হয়। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার সম্পর্কিত গুরুতর সমস্যাগুলির উপর বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পালন করা হয় বিশ্ব আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার দিবস। ১৫ জন বিচারককে নিয়ে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা ৯ বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচন করা হয় এই ১৫ জন বিচারক। মনোনীত প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিজ নিজ সরকার দ্বারা নির্বাচন করা হয় বিচারকদের। কোনও বিচারককে দুইবারের বেশি এই দায়িত্ব দেওয়া হয় না।