১৪৪ বছর পর ২০২৫ সালে পালন করা হয় মহাকুম্ভ মেলা। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি এবং কুম্ভমেলা ও কুম্ভ স্নান উৎসব শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। কুম্ভ মেলার এই কয়েকদিনে কোটি কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান করছেন পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে। কুম্ভে অমৃত স্নান এবং শাহী স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শেষ অমৃত স্নান করা হয়েছিল ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে। মাঘী পূর্ণিমার পর বর্তমানে আর একটি এবং শেষ একটি রাজকীয় স্নান বাকি আছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মহাকুম্ভের শেষ রাজকীয় স্নান দিনক্ষণ ও গুরুত্ব সম্বন্ধে বিস্তারিত।

কুম্ভের প্রতিদিনের স্নানকেই পবিত্র স্নান বলা হচ্ছে, তবে বিশেষ তিথিতে যে স্নান করা হয় তাকে বলা হয় রাজকীয় স্নান। পৌষ পূর্ণিমা, মকর সংক্রান্তি, মৌনি অমাবস্যা, বসন্ত পঞ্চমী এবং মাঘী পূর্ণিমার দিনগুলোর স্নানকে বলা হয়েছে রাজকীয় স্নান, এরপর কুম্ভের শেষ রাজকীয় স্নানের শুভ দিন পড়েছে মহাশিবরাত্রিতে, যা ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ২৬ ফেব্রুয়ারির দিন রাজকীয় স্নানের শেষ শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে ত্রিবেণী সঙ্গমে। এই দিনের স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দিনের গুরুত্ব সম্বন্ধে বিস্তারিত।

মহাশিবরাত্রির দিনের স্নানের বিশেষত্ব হল সূর্য, চন্দ্র এবং শনির ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হবে, যা সাফল্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। এছাড়াও ২৬ ফেব্রুয়ারি শিব যোগ এবং সিদ্ধি যোগও রয়েছে। এই শুভ যোগ এবং মুহুর্তগুলিতে, মহাশিবরাত্রিতে অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নানকারী ভক্তরা পুণ্য এবং শুভ ফল লাভ করবে। তবে যদি অতিরিক্ত ভিড় বা অন্য কোনও কারণে মহাশিবরাত্রির দিনে প্রয়াগরাজে পৌঁছাতে না পারেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে বাড়িতেও রাজকীয় স্নান করলে পবিত্র ফল পাওয়া সম্ভব।