Telangana Tunnel Collapse (Photo Credits: X)

হায়দরাবাদ, ২৫ ফেব্রুয়ারিঃ তেলেঙ্গানার নাগরকুর্নুল জেলায় নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ ধসে (Telangana Tunnel Collapse) আটকে পড়া ৮ শ্রমিকের কাছে এখনও পৌঁছতে পারলেন না উদ্ধারকারী দল। শনিবার সকালে সুড়ঙ্গের ছাদ ধসে পড়ার পর থেকে ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে প্রবেশ করেছে উদ্ধারকাজ। সুড়ঙ্গের ভিতরে বিস্তর এলাকা জুড়ে থাকা কাদা উদ্ধারকারীদের উদ্ধাকাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দল জানাচ্ছে, কাদার পরিমাণ আরও এক মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। কাদার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ধারকারীরা সাময়িকভাবে তীব্র খননের কাজ বন্ধ রেখেছেন।

উদ্ধারকারী দল জানাচ্ছে, তীব্র গতিতে খনন কাজ চালালে তা উলটে বিপদ ডেকে আনতে পারে। যা কেবল আটকা থাকা শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন করবে তাই নয়, উদ্ধারকর্মীদের জীবনও ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। প্রতি মিনিটে প্রায় ৩,২০০ লিটার জল সুড়ঙ্গে বাড়ছে। যা বিপুল পরিমাণে বালি, পাথর এবং ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে মিশে আরও কাদার সৃষ্টি করছে। অস্ট্রেলিয়ার এক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ সোমবার জানান, পুরো এলাকাটি অস্থির বলে মনে হচ্ছে। এখানে ভারী খনন চালিয়ে যাওয়া খুব বিপজ্জনক হতে পারে।

ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা ৮ জনের সঙ্গে এখনও কোন যোগাযোগ করে ওঠা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকারী দল তাঁদের নাম ধরে চিৎকার করলেও উলটো দিক থেকে কোন জবাব আসেনি। এরই মাঝে সোমবার তেলেঙ্গানার মন্ত্রী জুপালী কৃষ্ণ রাও বলেন, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার আশা ক্ষীণ। জীবিত অবস্থায় কি উদ্ধার হবেন তাঁরা! তৈরি হয়েছে সংশয়।

তবে হাল না ছেড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২৮ জন সদস্য। রাজ্য মোকাবিলা বাহিনীর ১২০ জন সদস্য। রয়েছেন ভারতীয় সেনার ২৮ জন। এছাড়াও উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন ২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ড সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ অভিযানের পিছনে থাকা বীরত্বপূর্ণ দলের ছয় সদস্যও।