বট সাবিত্রীর উপবাস বিবাহিত মহিলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে করা হয় বট সাবিত্রী পুজো। কথিত আছে, এই উপবাস এতটাই শক্তিশালী যে যমরাজও নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং সাবিত্রীর স্বামী সত্যবানের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে বট সাবিত্রী অমাবস্যা পালন হবে ৬ জুন এবং বট সাবিত্রী পূর্ণিমা পালন করা হবে ২১ জুন। এদিন বটগাছের সামনে সাবিত্রী ও সত্যবানের গল্প না শুনলে বা না পড়লে মনে করা হয় এই উপবাস অসম্পূর্ণ।

সাবিত্রী ও সত্যবানের কাহিনী অনুযায়ী, মাদ্রা দেশের রাজা অশ্বপতি সমস্ত সুখ ও ধন-সম্পদে ধনী ছিলেন। কিন্তু তার কোনও সন্তান না হওয়ার খুবই কষ্টে থাকতেন তিনি। একবার রাজা অশ্বপতি দেবী সাবিত্রীকে খুশি করে দেবীর কাছে সন্তান লাভের বর চাইলেন। কিছু সময় পর রাজার ঘরে একটি মেয়ের জন্ম হয়, যার নামকরণ হয় সাবিত্রী। তিনি খুব সুন্দরী এবং সাহসী ছিলেন। সাবিত্রী তার জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সত্যবানকে। সত্যবান অনেক গুণী হলেও, স্বল্পায়ু ছিলেন তার। একথা জানার পরও সবার সম্মতিতেই বিয়ে হয় দুজনের। বিয়ের পর স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বটগাছের পুজো করতে শুরু করেন সাবিত্রী।

একদিন সত্যবান ও সাবিত্রী দুজনে একসাথে জঙ্গলের গিয়েছিলেন। মহাসতী সাবিত্রী বটবৃক্ষের নিচে বসেছিলেন এমন সময় কাঠের বোঝা তুলতে গিয়ে সত্যবানের মাথা ব্যাথা শুরু হয়। সাবিত্রী সত্যবানের মৃত্যুর সময় সম্পর্কে জানতেন বলে যমরাজের দূতেরা যখন সত্যবানকে নিতে আসে, তখন সাবিত্রী যমরাজকে অনুসরণ করতে শুরু করেন। তখন যমরাজ বলেন, "তুমি তোমার ধর্ম পালন করেছ, এবার তোমার ফিরে আসা উচিত"। সাবিত্রী বলেন, 'আমার স্বামী যেখানে যাবে আমাকেও যেতে হবে, এটাই চিরন্তন সত্য'। সাবিত্রীর কথা শুনে যমরাজ খুশি হয়ে তাকে বর চাইতে বলেন। যমরাজের কথার উত্তরে সাবিত্রী বলেন, তিনি সত্যবানের একশ পুত্রের মা হতে চান। এরপরেই যমরাজ সত্যবানের জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।