আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে বলা হয় শারদীয় পূর্ণিমা। পুরাণ অনুসারে, এই দিনে সমুদ্র থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী লক্ষ্মী। বছরে শুধু শারদ পূর্ণিমায় চন্দ্র থাকে ১৬ কলায় পূর্ণ। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পুজো এবং চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যারা শারদীয় পূর্ণিমার রাতে স্নান করে দান করেন এবং লক্ষ্মীপুজো করেন, তাদের বাড়িতে কোনও কিছুর অভাব হয় না। মান্যতা রয়েছে, এই রাতে চাঁদের আলোয় অবস্থান করলে সমস্ত রোগ নিরাময় হয়। ২০২৪ সালে শারদ পূর্ণিমা পালন হবে ১৬ অক্টোবর। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, কোজাগরী উপবাস পালন করা হয় এই দিনে। এই উপবাসকে কৌমুদী উপবাসও বলা হয়।

আশ্বিন পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৬ অক্টোবর রাত ০৮:৪০ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৭ অক্টোবর বিকাল ০৪:৫৫ মিনিটে। স্নান-দানের শুভ মুহুর্ত থাকবে ১৭ অক্টোবর সকাল ০৪:৪৩ মিনিট থেকে ০৫:৩৩ মিনিট পর্যন্ত। লক্ষ্মী পুজোর শুভ সময় থাকবে ১৬ অক্টোবর রাত ১১:৪২ মিনিট থেকে ১৭ অক্টোবর রাত ১২:৩২ মিনিট পর্যন্ত। শারদ পূর্ণিমার রাতে পৃথিবীতে আসেন দেবী লক্ষ্মী। শারদ পূর্ণিমার রাতে লক্ষ্মীর পুজো করলে সম্পদ লাভ হয়। শারদ পূর্ণিমা হল সেই রাত্রি যখন মহা রাসলীলা বা রাস পূর্ণিমা, যা কৃষ্ণ এবং ব্রজের গোপীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

শারদ পূর্ণিমার রাতে কৃষ্ণ এমন নৃত্য করেছিলেন যার থেকে দূরে থাকতে পারেননি শিবও। কৃষ্ণের ঐশ্বরিক নৃত্য দেখতে গোপী রূপে সেখানে পৌঁছেছিলেন মহাদেব। কথিত আছে এই দিনে কৃষ্ণের পুজো করলে সকল প্রকার দুঃখ দূর হয়। মান্যতা রয়েছে, শারদীয় পূর্ণিমার চাঁদ অন্যান্য দিনের তুলনায় আকারে বড় হয় বলে এর ঔষধি গুণ রয়েছে এবং এই রাতে চাঁদের রশ্মি থেকে অমৃত বর্ষণ হয়। মনে করা হয় এই রাতে গরুর দুধ ও চালের তৈরি ক্ষীর চাঁদের আলোতে রাখলে সেই ক্ষীরে চন্দ্রের ঔষধি ও ঐশ্বরিক গুণাবলী মিশে যায়।