সনাতন ধর্মে প্রতিটি দিনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পুরাণ অনুসারে, বৈশাখ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালন করা হয় পরশুরাম জয়ন্তী। বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু ষষ্ঠ অবতার রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পরশুরাম। এই দিনে খুব ধুমধাম করে পালন করা হয় পরশুরাম জয়ন্তী। মান্যতা রয়েছে যে এই দিনে পরশুরামের পুজো করলে সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে জয় লাভ হয়। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে, ২০২৪ সালে পরশুরাম জয়ন্তী পালন করা হবে ১০ মে।

বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে, প্রাচীনকালে মহিষমতী নামে এক বিশাল রাজ্যের রাজা ছিলেন কার্তবীর্য অর্জুন। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা ছিলেন তিনি। রাবণকেও পরাজিত করেছিলেন অর্জুন। তাঁর সহস্র অস্ত্র থাকার জন্য তাঁকে বলা হয় সহস্ত্রবাহু অর্জুন। একবার অর্জুন যুদ্ধে জয়ী হয়ে মহিষমতী ফেরার সময় তিনি যান জমদগ্নি মুনির আশ্রমে। সেখানে কামধেনু গরুর সাহায্যে সমগ্র সৈন্যবাহিনীকে খাওয়ালেন জমদগ্নি মুনি।

কামধেনুর সৌন্দর্য দেখে অর্জুন কামধেনুকে চাইলে জমদগ্নি মুনি তাকে দিতে অস্বীকার করে, এরপর জোর করে কামধেনুকে নিয়ে যান অর্জুন। পরশুরাম এই কথা জানতে পেরে অর্জুনকে হত্যা করেন এবং অর্জুনের ছেলেরা এই কথা জানতে পেরে জমদগ্নিকে হত্যা করে। পিতার মৃত্যুর পর, পরশুরাম অর্জুনের সমস্ত পুত্র এবং তাকে সমর্থনকারী সমস্ত ক্ষত্রিয় রাজাদের হত্যা করেছিলেন। এই কারণে সকল ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়কে শত্রু মনে করেন পরশুরাম।