প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর পালন করা হয় সুশাসন দিবস। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকে সম্মান জানাতে পালন করা হয় এই দিনটি। ভারতীয় জনগণের মধ্যে সরকারের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা হয় এই দিনে। সরকারের দায়বদ্ধতা এবং শাসন সম্পর্কে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হল এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং পন্ডিত মদন মোহন মালভিয়াকে। তখনই ২৫ ডিসেম্বরকে সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অটল বিহারী বাজপেয়ী ৩ বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণে অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীতে পালন করা হয় সুশাসন দিবস।

অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্ব এবং সমাজে তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় সুশাসন দিবসে। সরকারের কর্তব্য এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার কাজ করে সুশাসন দিবস, যা সরকারের পালন করা উচিত। এই দিনটি সরকারকে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং উন্নয়নের জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৫ অনুযায়ী সুশাসনের স্বচ্ছতা প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে সুশাসন দিবস।