মট্টু পোঙ্গল হল চার দিনের পোঙ্গল উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কৃষিকাজ এবং গ্রামীণ জীবনে গরু এবং ষাঁড়ের মতো গবাদি পশুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পালন করা হয় এই দিনটি। তামিলনাড়ু এবং দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য অংশে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালন করা হয় এই দিনটি। ২০২৫ সালে ১৪ জানুয়ারি থেকে পালন করা শুরু হবে পোঙ্গল উৎসব এবং ১৬ জানুয়ারি পালন করা হবে মট্টু পোঙ্গল। গরু দুধ দেয়, যা পুষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং ষাঁড় ক্ষেত চাষে ও পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে। গবাদি পশুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য নিবেদিত মট্টু পোঙ্গল।
তামিল ভাষায় "মট্টু" শব্দের অর্থ "গবাদি পশু", যা প্রাণীদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। মট্টু পোঙ্গলের দিনে কৃষকরা তাদের গবাদি পশুকে সাজায়, তাদের পুজো করে। মট্টু পোঙ্গলের নিয়ম অনুযায়ী ভোরবেলা গরু ও ষাঁড়কে স্নান করানো হয় এবং রঙিন মালা, হলুদ ও কুমকুম দিয়ে সাজানো হয়। তাদের শিং আঁকা এবং ঘণ্টা ও ফিতা দিয়ে সাজানো হয়। এরপর সদ্য কাটা ধান, চাল, গুড় এবং দুধ দিয়ে তৈরি "পোঙ্গল প্রসাদ" গবাদি পশুদের খাওয়ানো হয়। কৃষকরা কৃতজ্ঞতার চিহ্ন হিসেবে পশুদের কলা, আখ এবং অন্যান্য উপাদেয় খাবারও খাওয়ায়। কৃষকরা প্রচুর ফসল এবং তাদের গবাদি পশুর মঙ্গল কামনা করে আচার-অনুষ্ঠান এবং প্রার্থনা করে মট্টু পোঙ্গলে।
বাস্তুতন্ত্রে প্রাণীর ভূমিকা স্বীকার করে শ্রদ্ধার সঙ্গে পুজো করা হয় মট্টু পোঙ্গলের দিন। তামিলনাড়ুর অনেক জায়গায় ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়-টেমিং খেলা "জাল্লিকাট্টু" উৎসবের আয়োজন করা হয় এদিন। এই অনুষ্ঠানে ষাঁড়ের শক্তি এবং তৎপরতা প্রদর্শন করা হয়। এদিন গ্রামে গ্রামে সম্প্রদায়ের ভোজ এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যা ঐক্য ও সম্প্রীতির অনুভূতি বাড়ায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্য অনুষ্ঠান এদিনের আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া কিছু এলাকায় উৎসবের অংশ হিসেবে ষাঁড়ের দৌড়ের আয়োজন করা হয়, যা কৃষক এবং তাদের ষাঁড়ের মধ্যে বন্ধন প্রদর্শন করে।