
কলকাতা, ২৬ অক্টোবর: রবিবার কালীপুজো (Kali puja)। কালীপুজো আবার আলোর উৎসব দীপাবলি। ইতিমধ্যেই বাজারে চলে এসেছে নানা রকমের আতসবাজি (fireworks)। শহরের বড় ছোটো মাঝারি, বড় বিভিন্ন বাজারে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। দুর্গাপুজোর আগে প্রবল বৃষ্টিতে বেশ ভয়ই পেয়েছিল বঙ্গবাসী। কিন্তু পুজোর কটা দিন নয় নয় করে ভালোই কেটেছে। একেবারে মাটি হয়নি বাঙালির প্রাণের পুজো। একই পরিস্থিতির সম্ভাবনা ছিল কালীপুজোর (Kali Puja) আগেও। যদিও শনিবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই। ফলে এবারের মতো ফাঁড়া কাটিয়ে জমে যাবে কালীপুজো। যাদের দোকান রয়েছে এমন ব্যবসায়ীরা যেমন পসরা সাজিয়ে বসেছেন তেমন এই পুজোর কটা দিন বা উৎসবের দিনে অনেকেই এমন আছেন যারা পাইকারী বাজার থেকে নানান রকমের রং বে রঙের প্রদীপ, বাতি, বাজি সাজিয়ে রাস্তার দু'ধারে বসেন।
শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। ফলে বাজির বাজারেও এ দিন জোয়ার এসেছে। গত তিন দিন ধরে বেজার মুখে বসে ছিলেন বিক্রেতারা। মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল ক্রেতাদেরও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, বঙ্গোপাসাগরে নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়েছে। ফলে আগামী কাল রবিবার এ রাজ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আরও পড়ুন: আলোর উৎসবে বিশ্বরেকর্ড, ৩ দিন ধরে উত্তরপ্রদেশে জ্বলবে ৬ লাখ প্রদীপ
আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম বিভিন্ন জায়গায় বাজি বাজার বসেছে। সেখানে ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে ছোটোদের। কারণ বাজির প্রতি তাদেরই তো সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। ছেলে-মেয়েদের আবদার মেটাতে কসুর করছেন না বাবা-মায়েরা। প্রতি বারের মতো এ বারও নানা ধরনের বাজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুলিশের নজরদারি গত বারের থেকেও কড়া হয়েছে। ধড়পাকড়ের পাশাপাশি সচেতনতার উপরেও জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা ময়দানের বাজি বাজার। বাজি বাজারে রয়েছে ৮৬টি দোকান। যার অধিকাংশ দোকানেই শিবকাশীতে তৈরি আলোর বাজিতে ঠাসা। বিভিন্ন ধরনের রকেট, চড়কি, সেল, প্যারসুট, ফুলঝুড়ি, রংমশাল রয়েছে এই সব দোকানে। এছাড়া চম্পাহাটি, হাড়াল, মহেশতলা, নুঙ্গি সব জায়গাতেই এ সময় চলে বাজি কেনাবেচা।