প্রতীকী ছবি(File Photo)

কলকাতা, ৪জুন: খুশির ইদ নিয়ে সকলের মনেই আনন্দের সীমা নেই। ভারতে খুশির ইদকে বলা হয় মিষ্টির ফেস্টিভ্যাল। ইদের উদযাপন হবে আর নানা রকম সিমাই, পায়েশ, ফিরনি, বিরিয়ানি, কাবাবের আয়োজন হবে না তাতো হতে পারে না। ইদ মানেই ঘি, দুধের সুগন্ধে ভরপুর বাড়ি। মায়ের আঁচল জুড়ে ভালবাসার হাতছানি। ইদ মানেই নামাজ, ইদগাহ থেকে বাপির ফিরে আসা, আর আনন্দের উদযাপনে ভেসে যাওয়া একটা পরিবার।

ইদ মানেই জমিয়ে ভরপেট্টা খাওয়াদাওয়া, সেই তালিকায় থাকতে পারে ঘিয়ে ভাজা সিমাই। দুধের পরতে মিশে থাকা ভালবাসার আস্বাদ। লাচ্চা ঘিয়ের আদরে মেখে থাকা শুকনো লাচ্চা যখন এলাচ, চিনির মিশেলে তৈরি ফুটন্ত দুধে ডুব দেয় তখন মনটা শাহী গন্ধে ভরে ওঠে। মিনিট ৩০ পর একবার পাত্রের ঢাকনা খুলে দেখলেই মনে হবে স্বর্গ এখানেই। সেই স্বর্গের ঠিকানা আরও বিস্তৃত হয় যখন নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে খাবার টেবিলে ডাক পড়ে। সিমাইয়ের সন্দেশ, ঝুরঝুরে সিমাই, দম সিমাই (Sahi Tukda) কাকে ছেড়ে কার কথা বলি। কোনওটার মূল উপকরণ নারকোলের দুধ, কোনওটার বা গরুর দুধ। কনডেন্সড মিল্কও ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রকৃত স্বাদ পেতে চাইলে এই দুটোর উপস্থিতি খুব প্রয়োজন। আরও পড়ুন-দুঃস্থকে যথাসাধ্য সাহায্যের মধ্যেই রয়েছে রমজানের সার্থকতা

অনেক তো মিষ্টি খেয়ে ফেলেছেন এবার স্বাদ বদল নাহলে মুখটাই খাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই ডেজার্ট ছেড়ে মেন কোর্সে যান। সেখানে আপনার জন্য ক্লান্তিহীন অপেক্ষায় রয়েছে মটন বিরিয়ানি, চিকেন কাবাব (Chicken Afgani)। ইদের দিন বন্ধু স্বজনের ভরে ওঠে বাড়ির ড্রয়িংরুম। ইদের খুশি শেয়ার করতে পাত তো পড়বেই, এই আনন্দের ঢালাও আয়োজন কিন্তু অন্য কোনওদিন পাবেন না। বছরে একটাই ইদ-উল-ফিতার (Eid-Al-Fitar 2019) আসে, তাই উদযাপন করুন মন প্রাণ ভরে। নিজে খান অন্যকে খাওয়ান, খুশি ছড়িয়ে বেড়ান, তাতে হারানোর ভয় নেই বরং পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।