বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় গৌতম বুদ্ধকে। সারা বিশ্বে অনুসৃত প্রধান ধর্মগুলির মধ্যে একটি হল বৌদ্ধ ধর্ম। আধ্যাত্মিক জ্ঞানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বৌদ্ধ ধর্ম। যারা বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী তাদের জন্য একটি বিশেষ দিন বোধি দিবস। প্রতি বছর ৮ ডিসেম্বর পালন করা হয় বোধি দিবস। গৌতম বুদ্ধ হওয়ার আগে তিনি পরিচিত সিদ্ধার্থ গৌতম নামে। রাজ পরিবারে জন্মগ্রহণ হওয়ার পরও সমস্ত আনন্দ ত্যাগ করে তপস্যা ও নিষ্ঠা অবলম্বন করেন তিনি। একদিন নীরবে রাতে প্রাসাদ ত্যাগ করে সত্য ও জ্ঞানের সন্ধানে বনের দিকে রওনা হন সিদ্ধার্থ গৌতম। এরপর কঠোর তপস্যা করেন এবং পরম জ্ঞান লাভ করেন তিনি।

গৌতম বুদ্ধের জ্ঞানার্জনের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয় বোধি দিবসকে। বুদ্ধ মানে একজন জাগ্রত বা আলোকিত ব্যক্তি। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেন যুবরাজ সিদ্ধার্থ গৌতম। ৫৬২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লুম্বিনিতে (বর্তমানে নেপাল) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতার নাম ছিল শুদ্ধোধন, যিনি শাক্য বংশের রাজা ছিলেন। একবার রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে চারপাশের দারিদ্র্য ও রোগ দেখেছিলেন সিদ্ধার্থ গৌতম এবং এটি তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। কথিত আছে যে সিদ্ধার্থ গৌতম যখন বাড়ি ছেড়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৯ বছর।

বাড়ি ছাড়ার পর ৬ বছর ধরে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে গভীর আত্মদর্শন, তপস্যা এবং ধ্যান করেছিলেন সিদ্ধার্থ গৌতম। অবশেষে বিহারের বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষের নিচে জ্ঞানলাভ করেন তিনি। সিদ্ধার্থ গৌতম যেই সময় জ্ঞান লাভ করেছিলেন এবং বুদ্ধ হিসেবে জাগ্রত হয়েছিলেন সেই সময়কে স্মরণ করে পালন করা হয় বোধি দিবস। সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা উৎসাহের সঙ্গে পালন করে এই দিনটি। বোধি দিবস পালন করার প্রধান আকর্ষণ হল সকলের জন্য মঙ্গল করা, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাঠগুলি মনে রাখা, জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া এবং আধ্যাত্মিকতার ভিত্তিকে শক্তিশালী করা।