নয়াদিল্লি, ১৯ অক্টোবর: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ লাখ পেরিয়েছে। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেপ্টেম্বরে মাঝে মধ্যেই ১০ লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে। সরকারি বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২১-র ফেব্রুয়ারিতে শেষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১.০৬ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতে প্রতিদিন আমরা লড়ে চলেছি। এখন প্রশ্ন একটাই, কবে সংক্রমণ পুরোপুরি থামবে এদেশে। কোভিড-১৯ মুক্ত কবে হবে এদেশ? বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ দল তৈরি হয়েছে। আইআইটি, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু, আইএসআই কলকাতার গবেষকেরা এই দলের মধ্যে রয়েছেন। তাদেরই দাবি, ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
তবে এই আগাম ভবিষ্যতবাণীটি সঠিক নাও হতে পারে, যদি সাধারণ মানুষ সঠিক কোভিড-১৯ প্রোটোকল মেনে না চলেন। ফেস মাস্ক, টেস্টিং এবং ট্র্যাকিং এবং কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলতে হবে কঠোরভাবে। সংক্রমণের রেখা তখনই নীচের দিকে আসবে যখন সামাজিক দূরত্ব-সহ সংক্রমণ এড়াতে সমস্ত প্রোটোকল মেনে চলা হবে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ৩০ শতাংশ ভারতীয়দের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। এদের মধ্যে ১৪ শতাংশ ভারতীয়দের শরীরে অগাস্টের শেষে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। করোনা সংক্রমণ কমলেও সকলকে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে হবে এই মারণরোগের থেকে বাঁচতে হলে। এই মারণভাইরাসকে কখনই হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। আর যদি কোভিড সংক্রমণ এড়াতে সঠিক প্রোটোকল মেনে চলা না হয়, তাহলে এক মাসে সংক্রমণের সংখ্যা ২৬ লাখেরও বেশি হয়ে যেতে পারে।