Photo Credit_ Twitter

দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: ভবিষ্যতে কী হবে, কে কোথায় থাকবেন, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। মানুষ সব সময় ভবিষ্যত জানতে আগ্রহী। পৃথিবী এগিয়ে গেলেও এখনও মানুষের ভবিষ্য়ত নিয়ে জানার আগ্রহের শেষ নেই। মানুষ সব কিছুই জানতে আগ্রহী। এমনই একজন বাবা ভাঙ্গা। যিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক ভবিষ্য়তবাণী করে গিয়েছেন। ভূমিকম্প থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি, বিভিন্ন সময়ে বিবিন্ন ধরনের ভবিষ্যতবাণী করে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা। ভবিষ্যত দ্রষ্টা এই বাবা ভাঙ্গার (Baba Vanga)অনুরাগীও বহু। তাই বাবা ভাঙ্গার মত বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে এনন বহু মানুষ রয়েছেন।

আরও পড়ুন: Baba Vanga’s Prediction: বাবা ভাঙ্গার সতর্কতা; এলিয়েন থেকে খরা, জানিয়ে রেখেছেন পৃথিবী ধ্বংসের সালও

কে এই বাবা ভাঙ্গা?

বাবা ভাঙ্গা একজন বুলগেরিয়ান সন্ন্যাসী। ১৯১১ সালের ৩ অক্টোবর এই বাবা ভাঙ্গার জন্ম হয়। বাবা ভাঙ্গার মৃত্যু হয় ১৯৯৬ সালের ১১ অগাস্ট। খুব কম বয়স থেকে নিজের দৃষ্টিশক্তি হারান বাবা ভাঙ্গা। তবে চোখে অন্ধকার নেমে আসার পর থেকে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্য়তবাণী এক এক করে মিলে যেতে শুরু করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মাত্র ৩ বছরের ছিলেন এই সন্ন্যাসী। মাত্র তিন বছর বয়সেই মাকে হারান বাবা ভাঙ্গা। মাকে হারিয়ে বাবাকেও বেশিদিন কাছে পাননি বাবা ভাঙ্গা। তাঁর বাবা বুলগেরিয়ান সেনার সদস্য হয়েঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ওই সময় থেকেই বাবা ভাঙ্গা পাড়া প্রতিবেশীর কাছে বড় হতে শুরু করেন।

জানা যায়, শৈশবে মাঠের জমিতে প্রচণ্ড হাওয়ায় একবার চরম আহত হন বাবা ভাঙ্গা। হাওয়া তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। বাবা ভাঙ্গা ওই সময় আর বাঁচবেন না বলে ধরে নেন অনেকে। তবে সবার সব আশঙ্কায় ইতি টেনে বেঁচে ওঠেন বাবা ভাঙ্গা। তবে নিজের দৃষ্টিশক্তি ওই সময় থেকেই তিনি হারিয়ে ফেলেন।

বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্য়তবাণী

২০২৫ সালে সিরিয়া (Syria) ভেঙে পড়বে। এমন ভবিষ্যতবাণী আগেই করেছিলেন এই বুলগেরিয়ান সন্ন্যাসী। শুধু তাই নয়, ২০২৫ সালে গোটা বিশ্ব ক্রমাগত ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে বলেও ভবিষ্যতবাণী করেন বাবা ভাঙ্গা। ইউরোপে ২০২৫ সালে শুরু হবে গৃহযুদ্ধ। যার জেরে ইউরোপের একাধিক দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ২০২৫ সালে আরও উত্তাল হবে মধ্যপ্রাচ্য। এমন ভবিষ্যতবাণীও বাবা ভাঙ্গা করেন। পাশাপাশি ২০২৫ এমন একটি সাল, যখন থেকে ডুমসডে অর্থাৎ পৃথিবীতে অন্ধকার দিন ঘনিয়ে আসতে শুরু করবে বলেও নিজের ভবিষ্যতবাণীতে জানান বাবা ভাঙ্গা।

১৯৯৬ সালে বাবা ভাঙ্গা মৃত্যু হয়। তবে বুলগেরিয়ান সন্ন্যাসীর একাধিক ভবিষ্য়তবাণী নিয়ে ক্রমাগত শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রায় গোটা বিশ্বের মানুষ।