একদিকে যেমন বিজেপি দলের অন্দরে তালিকা প্রকাশ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে, অন্যদিকে আবার এনসি-র সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে গিয়ে বিপাকে কংগ্রেস। এমনিতে এনসি ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম সদস্য। তবে যদি আপের মতো যাতে ফারুক আবদুল্লার দল এককভাবে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে বিপাকে পড়তে পারে কংগ্রেস। এদিকে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ফলে শেষ মুহূর্তে খেলার মোড় যাতে না ঘুরে যায়, তাই সোমবার রাতে কোনওমতে আসন সমঝোতার জট কাটিয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল এনসি ও কংগ্রেস। এই জট কাটাতে বড় ভূমিকা ছিল কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেনুগোপাল ও সলমন খুরশিদ। তাঁদের নেতৃত্বেই অবশেষে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে সিট শেয়ারিং সমস্যা মেটালো এনসি ও কংগ্রেস শিবির।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বেনুগোপাল বলেন, "বিজেপি জম্মু-কাশ্মীরকে শেষ করতে চাইছে কিন্তু আমরা এই রাজ্যেকে বাঁচাতে চাইছি। সেই কারণে আমরা দুই দলের নেতারা একত্রিত হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমরা আসন নিয়ে বৈঠক করেছি এবং রফাসূত্র পাওয়া গিয়েছে। আমরা একসঙ্গে লড়ে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গড়ব"। প্রসঙ্গত, প্রায় ১০ বছর পর উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলে এই নির্বাচনের ফলাফল বলে দেবে রাজ্যবাসীর সমর্থন কোন দলের প্রতি কতটা আছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-এর পর আবারও এই জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন হতে চলেছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর এই রাজ্যের ৯০টি আসনে নির্বাচন রয়েছে। ফল প্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর। এবারের নির্বাচনে বিজেপি, কংগ্রেস, এনসি, পিডিপি ছাড়া উপত্যকার নির্বাচনে লড়বে আম আদমি পার্টি ও প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবী আজাদের দল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি।