লখনউ, ৮ নভেম্বর: আর মাত্র কয়েকদিন, তার পরেই ১৩৪ বছরের প্রাচীন অযোধ্যা মামলার (Ayodhya Case) সুপ্রিম রায় দেবে দেশের শীর্ষ আদালত। তার আগে আদালতের নির্দেশে এই প্রথম পাথর খোদাইয়ের কাজ বন্ধ রাখল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (BHP)। অযোধ্যার নির্মাণশালাতে গত ৩০ বছর ধরে পাথর ও মার্বেল খোদাই করে চলচেন পরিষদের কর্মীরা। রামমন্দির নির্মাণের লক্ষ্যেই এই কর্মকাণ্ড। এই প্রথম সেই কাজে যতি চিহ্ন পড়ল। এদিকে অযোধ্যা মামলার রায় যাই হোক না কেন দেশের সমস্ত নেতাই জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসীকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশকে মুখ্য করে এগোতে চাইছে সংঘপরিবার, যা চমকে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
জানা গিয়েছে, আরএসএস আগামী কয়েক দিনে সব দলের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে, বিশেষ করে মুসলিম নেতাদের কাছে। অযোধ্যা-রায় বেরোনোর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, সমাজবাদী পার্টি-সহ সব দলের কাছে শান্তি-সম্প্রীতি বজায়ের আবেদন জানাবে গেরুয়া শিবির। গডকড়ী-পটেলের গত কালের বৈঠকও না কি ছিল সেই উদ্দেশ্যেই। এনিয়ে আগামী কাল দিল্লিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশার লোকেদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সঙ্ঘের নেতা কৃষ্ণগোপাল। উদ্দেশ্য সম্প্রীতির আর্জি জানানো। অন্যদিকে অযোধ্যা মামলার রায়কে সামনে রেখে গেরুয়া শিবির যে ভাবে মুসলিমদের পাশে রেখে এগোনোর কৌশল নিচ্ছে, তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে কংগ্রেসের। কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি যেমন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন, অতি উত্তম। সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পর সকলেরই উচিত তা মেনে নেওয়া। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রশ্ন জাগে, যাঁরা এত দিন মেরুকরণের রাজনীতি করে এসেছেন, তাঁদের কি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী?’’ আরও পড়ুন-Maharashtra Government Formation: সরকার গড়তে মরিয়া বিজেপি, সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারানোর ভয়ে বিধায়কদের পাঁচতারা হোটেলে রাখল শিবসেনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রের এক মন্ত্রী এক বার মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিলেন, বিজেপি সংখ্যালঘু ভোটের প্রত্যাশা করে না। কিন্তু তিন তালাককে উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়ে সেই বিজেপিকেই মুসলিম মহিলাদের মন জয়ের চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। নির্বাচনে মুসলিমদের একাংশের ভোট পেয়েছে বলে বিজেপি দাবি করে। সামনের সপ্তাহেই অযোধ্যার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে প্রধানমন্ত্রী গত কালই নিজেদের মন্ত্রী-নেতাদের সতর্ক করেছেন, রায় যেমনই হোক, সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। যদিও যে সময় এই রায় বেরোনোর কথা, সামনের সপ্তাহের সেই সময়ে ব্রিক্স সম্মেলনে ব্রাজিল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।