No Minimum Balance Needed In Bank Accounts For 3 Months: করোনার প্রভাব, আগামী ৩ মাস ব্যাংকে মিনিমাম ব্যালেন্স না থাকলেও কাটবে না টাকা
নির্মলা সীতারমণ (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৪ মার্চ: করোনাভারাসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সাধারণের জন্য ত্রাণ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। শুধু তাই নয়ষ আগামী তিন মাসের জন্য ব্যাংকে মিনিমাম ব্যালেন্স নিয়ে কোনও গ্রাহককেই মাথা ঘামাতে হবে না। জানিয়ে দিলেন  তিনি। এই বিপর্যয়ের সময় গ্রাহক যদি শেষ সম্বলটুকুও ব্যাংক থেকে তুলে বাড়িতে এনে রাখেন, তাতেও অ্যাকাউন্ট ক্লোজ হবে না। বা গ্রাহককে কোনও চিঠি ধরানো হবে না, পরবর্তিতে এজন্য টাকাও কাটা যাবে না। প্রয়োজনে এই ছাড় আগামী তিন মাসের জন্য বরাদ্দ হবে। যেকোনও এটিএম থেকেই তোলা যাবে টাকা। অর্থমন্ত্রী জানান, একান্ত প্রয়োজন না পড়লে কেউ ব্যাংকে যাবেন না।

বলা হয়েছে, অনলাইন লেনদেন করুন, ইউপিআই লেনদেন করুন। রাখতে হবে না মিনিমাম ব্যালেন্স। তুলে দেওয়া হয়েছে ডেবিট কার্ডে অন্য এটিএম থেকে টাকা তোলার ওপর চার্জও। এদিন বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের আইটি রিটার্ন এখনও যাঁরা জমা করেননি, তাঁদের জন্য সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে সেই রিটার্ন ফাইল করতে হবে। প্যান আর আধার সংযুক্তি ৩০ জুন অবধি বাড়ানো হবে। যে সংস্থা এখনও টিডিএস জমা করেনি, তাদের জরিমানা ১৮% থেকে কমিয়ে ৯% করা হয়েছে। করোনা মহামারীর প্রভাবে ভারতীয় অর্থব্যবস্থাকে পোক্ত রাখতে যৌথভাবে কাজ করছে আরবিআই ও অর্থমন্ত্রক। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এদিন বলেছেন, আয়কর ছাড়ের সুবিধা দিতে নিয়ামক আইনে ছাড় আনতে চলেছে মন্ত্রক। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মাঝারি ও খুচরো শিল্পকে বাঁচাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থমন্ত্রক। আরও পড়ুন- Coronavirus Impact On E-Commerce Companies: করোনাভাইরাসের গ্রাসে লকডাউনে দেশ, বিকিকিনি বন্ধ রাখল অ্যামাজন ফ্লিপকার্ট

এছাড়াও যাদের বার্ষিক আয় ৫ কোটির নীচে এমন মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের জিএসটি দাখিলে ছাড় দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়সীমার পর সেই সংস্থাগুলো জিএসটি দাখিল করলে জরিমানা খাতে অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে না। এর ফলে ক্ষুদ্র-অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কিছু সুরাহা মিলবে। ৫ কোটির উপরে যাদের বার্ষিক আয় তাদের লেট ফি হিসেবে ৯% সুদ হিসেবে জরিমানা ধার্য হবে। মার্চ-মে, ত্রৈমাসিকে জিএসটি পরিশোধের সময় ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।