ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাসেভ (Photo: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৭ জানুয়ারি: কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) ইশুতে ফের নতুন দিল্লির পাশে দাঁড়াল রাশিয়া (Russia)। কাশ্মীর সমস্যাকে ইশু করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা করে ফের ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। চিন (China) পূ্র্ণ সহযোগিতা করলেও ফ্রান্স-সহ বাকি দেশগুলির তীব্র বিরোধিতায় সেই পাকিস্তানের আশায় একেবারে ছাই পড়ল। চিনের জোরাজুরিও ধোপে টিকল না। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে (UN Security Council) কাশ্মীর প্রসঙ্গ শুনতেই চাইলেন না স্থায়ী সদস্যরা। উল্টে চিন ও ইসলামাবাদকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ এইসব আলোচনা শোনার জন্য নয়। আজ একই কথা শোনা গেছে ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাসেভের (Nikolay Kudashev) মুখে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।

ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, "নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা কররা পক্ষে ছিলাম না আমরা।" তিনি আরও বলেন, "সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণার ভিত্তি অনুযায়ী কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।" কাশ্মীরে অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের সফররে বিষয়ে নিকোলাই কুদাসেভ বলেন, "আমার মনে হয় না যে আমার কাশ্মীর যাওয়ার কোনও কারণ আছে। এটা ভারতের সিদ্ধান্ত। এটি ভারতের সাংবিধানের অন্তর্গত অভ্যন্তরীণ বিষয়।" তাঁর যোগ, "যারা কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যারা কাশ্মীরে ভারতীয় নীতির বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন, তারা ইচ্ছা করলে ভ্রমণ করতেই পারতেন। তারা নিজেরাই দেখতে পাবেন। আমরা কখনই সন্দেহ করিনি।" আরও পড়ুন:  China Isolated On Kashmir At UN Security Council: চিনের বন্ধুতাই সার, রাষ্ট্রপুঞ্জের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পাত্তাই পেল না পাকিস্তানের কাশ্মীর ইস্যু

গত পাঁচ আগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারার বিলোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে বিভাজনের পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলকে পাশে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। চিন ছাড়া এর আগেও বহুবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের বক্তব্যকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। চিন ছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী সদস্যদের প্রত্যেকেরই বক্তব্য ছিল, জম্মু-কাশ্মীর ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বিষয়। সেই বিষয় হস্তক্ষেপ করতে চায় না রাষ্ট্রপুঞ্জ। চিন বাদে রাষ্ট্রপুঞ্জের সব সদস্য দেশই পাকিস্তানকে পাত্তা না দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াল।