ত্রিপুরা (Tripura) সরকারের ঘুম উড়িয়েছে রাজ্যের যুবসমাজ। এই রাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এইচআইভি পজিটিভ। যার ধারক ও বাহকদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া। ইতিমধ্যেই এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। অসুস্থ কমপক্ষে ৮২৮ জন। সবথেকে দুঃশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যেই অনেকে জানেন না তাঁরা এইচআইভি রোগী এবং অনেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উচ্চশিক্ষা সহ বিভিন্ন কাজে চলে গিয়েছেন। ফলে তাঁদের মারফত এইচআইভি দেশের অনান্য রাজ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে এই সংক্রমণটি। যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে আক্রান্তদের সনাক্তকরণের কাজ শুরু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় এইচআইভি সংক্রান্ত প্রচার শুরু করে দিয়েছে সরকার।

এইচআইভি মূলত অযাচিত যৌন মিলন, ব্যবহার করা সূচ, ব্লেড সহ ধাতব বস্তুর থেকে ছড়াতে পারে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েক বছরে ত্রিপুরার যুব সমাজের মধ্যে ড্রাগ ব্যবহারের প্রবণতা বেশি মাত্রায় বেড়েছে। ২০০৭-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর মে মাস পর্যন্ত অত্যাধিক হারে মাদকজাত জিনিসের বিক্রি বেড়েছে উত্তর-পূর্বের এই ছোট রাজ্যে। মূলত, একই সিরিঞ্জ থেকে অনেকে মাদক নিত বলে এইচআইভি দ্রুত হারে বেড়েছে এই রাজ্যে।

আর এই ড্রাগগুলি বাংলাদেশ থেকে পাচার হত বলে খবর। বিএসএফ এবং নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো এতদিনে এই পাচারচক্রদের কেন আটকাতে পারেনি সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এবং ২০০৭ থেকে ড্রাগ সেবনের প্রবণতা এতবড়ভাবে কী করে বাড়ল, রাজ্য সরকারের কেন এখন হুঁশ ফিরল এই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বর্তমানে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি রাখছে স্থানীয় প্রশাসন।