COVID-19 Cases In India:  ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ছাড়ালো, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ৩ হাজার ৭২২ জন
করোনাভাইরাস (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৪ মে:  দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত (COVID-19 cases) ৭৮ হাজার ছাড়িয়ে গেল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭২২ জন। মৃত্যু হয়েছে আরও ১৩৪ জনের। গত মঙ্গলবারই মোট আক্রান্ত হয়েছিল ৩হাজার ৫২৫ জন। সেদিন মৃত্যু হয়েছিল ১২২ জনের। সরকারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সু্স্থতার হার সবথেকে বেশি, ৩৩. ৬৩ শতাংশ। ৭৮ হাজার ৩ জন আক্রান্তের মধ্যে এই মুহূর্তে ২৬ হাজার ২৩৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ৪৯ হাজার ২১৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২ হাজার ৫৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবথেকে খারাপ। সেখানে ২৫ হাজারের উপরে আক্রান্ত। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইতেই আক্রান্ত ১৫ হাজারেরও বেশি। মার্চের শেষের দিক থেকে ভারতে করোনা আক্রান্ত বাড়তে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের করোনা বিধ্বস্ত ১২টি দেশের তালিকায় উঠেছে নাম। যে হারে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আগামী দুদিনের মধ্যেই করোনার আঁতুড় ঘর চিনকে পিছনে ফেলে পরিসংখ্যানে এগিয়ে যাবে ভারত। চিনই হল কোভিড-১৯ এর উপকেন্দ্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ৮২ হাজার ৯২৯ জন জন। সেখানে ৪ হাজার ৬৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহামারী করোনায় বিশ্বে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্ত ১৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৪৮ জন। ৮৫ হাজার ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও পড়ুন- Coronavirus Could Become Endemic: করোনাভাইরাস হয়তো কখনওই আর পৃথিবী ছেড়ে যাবে না, একে নিয়েই বাঁচা শিখতে হবে; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

নতুন করোনাভাইরাস হয়তো আর কখনওই যাবে না। বিশ্বের মানুষকে এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করা শিখে নিতে হবে। বুধবার এমনই হুঁশিয়ারি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO)। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ যেমন করোনা সংক্রমন কমাতে জারি হওয়া লকডাউনকে ধীরে ধীরে শিথিল করছে। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, এটা হয়তো আর সম্পূর্ণভাবে দূর হবে না। গত বছরের শেষের দিকে চিনের উহানে প্রথম এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। তখন থেকে এই পর্যন্ত বিশ্বে ৪.২ মিলিয়ন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা তিন লক্ষের কাছাকাছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপাতকালীন ডিরেক্টর মাইকেল রায়েন বলেছেন, “জনগণের মধ্যে এই প্রথম কোনও অজানা ভাইরাস ঢুকে পড়েছে। কখন এই ভাইরাসকে বশ করতে পারব তা আগের থেকে অনুমান করা বেশ কঠিন।”