বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা Michael Ryan

জেনেভা, ১৪ এপ্রিল: নতুন করোনাভাইরাস হয়তো আর কখনওই যাবে না। বিশ্বের মানুষকে এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করা শিখে নিতে হবে। বুধবার এমনই হুঁশিয়ারি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO)। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ যেমন করোনা সংক্রমন কমাতে জারি হওয়া লকডাউনকে ধীরে ধীরে শিথিল করছে। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, এটা হয়তো আর সম্পূর্ণভাবে দূর হবে না। গত বছরের শেষের দিকে চিনের উহানে প্রথম এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। তখন থেকে এই পর্যন্ত বিশ্বে ৪.২ মিলিয়ন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা তিন লক্ষের কাছাকাছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপাতকালীন ডিরেক্টর মাইকেল রায়েন বলেছেন, “জনগণের মধ্যে এই প্রথম কোনও অজানা ভাইরাস ঢুকে পড়েছে। কখন এই ভাইরাসকে বশ করতে পারব তা আগের থেকে অনুমান করা বেশ কঠিন।”

জেনেভা থেকে এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে মাইকেল রায়েন বলেন, “ হয়তো এই কোভিড-১৯ এবার পৃথিবীর স্থানীয় ভাইরাস পরিণত হবে। যা কখনওই আমাদের ছেড়ে যাবে না। এইচআইভি আমাদের ছেড়ে যায়নি, আমরা তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে থাকতে শুরু করে দিয়েছি।” করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তুলতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই চলছে টানা লকডাউন। অর্থনীতির পুনরজ্জীবনে বেশ কিছুদেশে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। তবে এই শিথলতায় যে নতুন রে কেউ আক্রান্ত হবে না, এমন নিশ্চয়তা হু দিচ্ছে না।   আরও পড়ুন-Muzaffarnagar-Saharanpur Highway Accident: হাঁটতে হাঁটতে পথ ফুরোলো না, বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত ৬ পরিযায়ী শ্রমিক

লকডাউন যদি তুলে নিতেই হয়, তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজন ‘চূড়ান্ত নজরদারি’। তা না হলে সমূহ বিপদ সামনে। কারণ প্রথম আক্রমণের পরে স্তিমিত হয়ে গেলেও, লকডাউন শিথিল করা মাত্র দ্বিতীয়বার নতুন এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবর আসছে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকেই। ফলে সতর্কতা আরও তীব্র ও তীক্ষ্ণ করা ছাড়া উপায় নেই। স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বজুড়ে চরম আক্রোশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই মারণ করোনাভাইরাস। গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪২ লক্ষের বেশি। মারা গেছেন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। বেশ কিছু দেশে এখনও কার্যত লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতেও বহু দেশের কাছেই উপায় নেই লকডাউন তোলা ছাড়। কারণ অর্থনীতি অচল হতে বসেছে। আর এই লকডাউনের শিথিলতাই নতুন করে রোগটি ছড়িয়ে ফেলার রাস্তা খুলে দিচ্ছে।