বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির দশম বার্ষিকী উপলক্ষে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের উদ্যোগে ২২ জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পর্যন্ত চলবে বিশেষ উদযাপন।ওই কর্মসূচি ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ এবং মহিলাদের বিকাশ থেকে মহিলাদের নেতৃত্বে বিকাশের দিকে যাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জি-২০-তে ভারত ও ব্রাজিলের সভাপতিত্বের সময় এই বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও কর্মসূচির দশম বার্ষিকী উদযাপনের সূচনা হবে আজ (২২ জানুয়ারি) নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা, নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী প্রমুখ। উপস্থিত থাকবেন সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং দিল্লি পুলিশের মহিলা আধিকারিকরা।দেশ জুড়ে এই উদযাপন ২২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পর্যন্ত চলবে। বিজ্ঞান ভবনের অনুষ্ঠানে আজ মিশন বাৎসল্য এবং মিশন শক্তি পোর্টালেরও সূচনা হবে।
মঙ্গলবার একথা জানিয়ে লিখেছে, এছাড়াও থাকবেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ মহিলা আধিকারিক, বিদ্যালয়ের ছাত্রী (মাই ভারত স্বেচ্ছাসেবক), অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, বিভিন্ন রাজ্য ও জেলাস্তরের প্রতিনিধিরা। এই অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, বিশ্ব ব্যাঙ্ক সহ আন্তর্জাতিক নানা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বও থাকবে।
রাজ্য এবং জেলা স্তরে সাংস্কৃতিক সমারোহ, পদযাত্রা, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সংকল্প কর্মসূচির আওতায় নানান আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশ জুড়ে মুদ্রণ, ডিজিটাল এবং সামাজিক মাধ্যমে চলবে বিশেষ প্রচারাভিযান।ভারতে লিঙ্গানুপাতের ক্ষেত্রে বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট হওয়ার প্রেক্ষিতে, তার মোকাবিলায় ২০১৫-র ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হরিয়ানার পানিপথে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও কর্মসূচির সূচনা করেন। এর সুবাদে জন্মানোর সময়ে লিঙ্গানুপাতের ক্ষেত্রে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। ওই অনুপাত ২০১৪-১৫-র ৯১৮ থেকে বেড়ে ২০২৩-২০২৪-এ দাঁড়িয়েছে ৯৩০–এ। বিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তি হওয়ার অনুপাতও ৭৫.৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৮ শতাংশ হয়েছে এই সময়ে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের অনুপাত ৬১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৭.৩ শতাংশ।
বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির আওতায় যশস্বিনী বাইক অভিযান কিংবা কন্যা শিক্ষা প্রবেশ উৎসব ঘিরে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া গেছে।