আগামী বছর ১৪-২৪ জানুয়ারির মধ্যে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, অযোধ্যার ওই বিতর্কিত নির্মাণ ভেঙে সেখানে রাম মন্দিরই তৈরি হবে। একেবারে মহাধুমধাম, জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুলতে চলেছে অযোধ্য়ায় বহু প্রতীক্ষিত মন্দিরের দরজা। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময় বিশেষ পুজো হবে দেশের ৫ লক্ষাধিক মন্দিরে।
দু বছর ধরে চলছে রাম মন্দিরের কাজ। বলাই বাহুল্য, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করে নিজেদের পালে হাওয়া টানতে চাইছে বিজেপি। আর তাই অযোধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম রাম মন্দিরের উচ্চতা ১৬১ ফুট। মন্দিরের দৈর্ঘ্যে হচ্ছে ৩৮০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট। ৩৯২টি স্তম্ভ ধরে রাখবে বিশাল মন্দিরকে। খাঁটি সেগুন খাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে মন্দিরের ৪৬টি দরজা। গর্ভগৃহের দরজা হবে স্বর্ণখচিত।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে দেশের আড়াই হাজার বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সেনাকর্তা থেকে আমলা, চলচ্চিত্র শিল্পী থেকে ক্রিকেটার-খেলোয়াড়দের রাম মন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এখন তৈরি হচ্ছে উদ্বোধনে বিশিষ্টদের আমন্ত্রিতদের তালিকা। রাম মন্দির আন্দোলনের সময় প্রাণ গিয়েছে তাদের আত্মীয়দেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চার হাজারেরও বেশী সাধু-সন্ন্যাসীদেরও অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনে ডাকা হচ্ছে। তফসিলি জাতী- উপজাতী শ্রেণীর মানুষদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এদিকে, দিনরাত অযোধ্যায় চলছে পরিকাঠামো তৈরির কাজ। তিন তলা মন্দিরের প্রথমতলের সব কাজ সম্পূর্ণ হবে অক্টোবর মাসে, দিওয়ালির আগেই। দিওয়ালির পর থেকেই রামমন্দির উদ্বোধনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। একেবারে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে অযোধ্যা শহরকে। তৈরি করা হচ্ছে ঝাঁ চকচকে আন্তর্জাতিক মানের অযোধ্যা বিমান বন্দর। তৈরি হচ্ছে অযোধ্যায় আধুনিক রেলস্টেশন। একাধিক হাইওয়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে অযোধ্য়াকে। বিদেশি অতিথিদের থাকার জন্য ঘর তৈরি করা হচ্ছে। অযোধ্য়ার ১০০টি প্লট দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনকে।