প্রতীকী ছবি (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৪ নভেম্বর: দিনে দিনে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে রাজধানীর দূষণ (Delhi Air Pollution)। বুধবার বেলা আড়াইটে ও রাত দশটার দূষণ মাত্রা ৫০০-তেই আটকে ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘন ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা রাজ্য। লোধী রোডের দূষণ মাত্রা কম তো হয়নি বরং বেড়েছে। বাড়ির বাইরে বেরোতেই দম আটকে যাচ্ছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিচার করে ১৪ ও ১৫ নভেম্বর দিল্লি উপকণ্ঠের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মূলত বুধবার পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রক কতৃপক্ষ রাজধানীর (national capital) দূষণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত জানায়। তারপরই স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দূষণ জ্বর থেকে বাঁচতে এক সপ্তাহ পর রাজধানীতে গত সপ্তাহেই স্কুল কলেজ খুলেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সমগ্র দূষণমাত্রা ছিল ৪২৫ বুধবার সকালে তাই বেড়ে হয় ৪৬৭। এখনই যা হার তাতে আজ সারা দিনে দূষণ মাত্রা বিপদসীমা উপর দিয়ে যাবে। আবহাওয়ার জরুরি অবস্থা তৈরি হতে পারে। গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে দিন দুয়েকের জন্য গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতি (Odd-Even) বন্ধ রেখেছিল দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। আজ থেকে তা ফের চালু হবে। এই স্কিমের কারণেই দিল্লির বাতাসের দূষণ মাত্রায় রাশ টানা গিয়েছিল, যাতে একটি হলেও স্বস্তি আনে জনমানসে। তবে রবিবার নতুন করে খড় পুড়েছে পাঞ্জাবে আর সেকারণেই ফের ধোঁয়ায় ঢেকেছে রাজধানী। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: ফের বিপদসীমায় রাজধানীর দূষণমাত্রা, তিনদিনের জন্য ফিরছে গাড়ির জোড়-বিজোড় স্কিম

বিশেষ করে উত্তর পশ্চিম রাজধানী ও এনসিআর-এর আকাশ ঢাকে কালো ধোঁয়ায়। সোমবার সকালে নেহরু নগরের দূষণ মাত্রা ছিল ৪০৬। অশোক বিহার ৪০২ ও রোহিনী ৪১৪। অন্যদিকে বিবেক বিহারের দূষণ মাত্রা ৪০৬ ও ওয়াজিরপুরের দূষণ মাত্রা ছিল ৪০৯। বুয়ানার দূষণ মাত্রা ৪১৪ ও মুন্ডাকার দূষণমাত্রা ৪১৩। অন্যদিকে আনন্দ বিহারে ছিল ৪১২। যা এককথায় বিপজ্জনক মাত্রা ছাড়া অন্যকিছু বলাই যাবে না। এদিকে শিখ গুরু গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্ম জন্তী উপলক্ষে দুদিনে জন্য রাজধানীতে জোড়-বিজোড় নীতির গাড়ি চলাচলে রাশ টেনেছে কেজরিওয়াল সরকার। মূলত এই স্কিম চালু হওয়াতে দূষণের কবলে দম বন্ধ হয়ে আসা রাজধানীর বাসিন্দারা ফের মু্ক্ত বাতাসের সন্ধান পেতে থাকেন।