দূষণে দিল্লি (Photo Credit: File Photo)

নতুন দিল্লি, ১৩ নভেম্বর: রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা কয়েকদিনের জন্য সামান্য কমায় আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছিল। তবে ফের কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে রাজধানীর আকাশ। ঘন ধোঁয়ার কারণে বাসিন্দারা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। মূলত পাঞ্জাবে (Punjab) ফের খড় পোড়ানোর (stubble burning) কাজ শুরু হতেই রাজধানীর আকাশে অন্ধকার নামে। উত্তুরে হাওয়ার গতিতে সেই ধোঁয়া পাঞ্জাব থেকে দিল্লিতে পৌঁছাতে বেশি সময় নেয়নি। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটেয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী দূষণের মাত্রা ছিল ৫০০। রাত দশটায় কমে হয় ৪৯৭। লোধি রোডের হাল যখন এই তখন গ্রেটার নয়ডার দূষণ মাত্রা ৪৫৮ ছুঁয়েছে। ৪৪১-এ পৌঁছেছে ফরিদাবাদ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সমগ্র দূষণমাত্রা ছিল ৪২৫ বুধবার সকালে তাই বেড়ে হয় ৪৬৭। এখনই যা হার তাতে আজ সারা দিনে দূষণ মাত্রা বিপদসীমা উপর দিয়ে যাবে। আবহাওয়ার জরুরি অবস্থা তৈরি হতে পারে। গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে দিন দুয়েকের জন্য গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতি (Odd-Even) বন্ধ রেখেছিল দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। আজ থেকে তা ফের চালু হবে। এই স্কিমের কারণেই দিল্লির বাতাসের দূষণ মাত্রায় রাশ টানা গিয়েছিল, যাতে একটি হলেও স্বস্তি আনে জনমানসে। তবে রবিবার নতুন করে খড় পুড়েছে পাঞ্জাবে আর সেকারণেই ফের ধোঁয়ায় ঢেকেছে রাজধানী। বিশেষ করে উত্তর পশ্চিম রাজধানী ও এনসিআর-এর আকাশ ঢাকে কালো ধোঁয়ায়। সোমবার সকালে নেহরু নগরের দূষণ মাত্রা ছিল ৪০৬। অশোক বিহার ৪০২ ও রোহিনী ৪১৪। অন্যদিকে বিবেক বিহারের দূষণ মাত্রা ৪০৬ ও ওয়াজিরপুরের দূষণ মাত্রা ছিল ৪০৯। বুয়ানার দূষণ মাত্রা ৪১৪ ও মুন্ডাকার দূষণমাত্রা ৪১৩। অন্যদিকে আনন্দ বিহারে ছিল ৪১২। যা এককথায় বিপজ্জনক মাত্রা ছাড়া অন্যকিছু বলাই যাবে না। এদিকে শিখ গুরু গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্ম জন্তী উপলক্ষে দুদিনে জন্য রাজধানীতে জোড়-বিজোড় নীতির গাড়ি চলাচলে রাশ টেনেছে কেজরিওয়াল সরকার। মূলত এই স্কিম চালু হওয়াতে দূষণের কবলে দম বন্ধ হয়ে আসা রাজধানীর বাসিন্দারা ফের মু্ক্ত বাতাসের সন্ধান পেতে থাকেন। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: পাঞ্জাবের খড় পোড়ানোর জের, ফের দূষণ জ্বরে অন্ধকার রাজধানী

এদিকে পাঞ্জাবের ঘটনায় ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নির্বিকার ব্যবহারে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও হতাশ দিল্লি। কাল এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, যদি খড় পোড়ানোর শেষের দিন শুরু না করতে পারি তাহলে দূষণ অসুর থেকে আমাদের মুক্তি নেই। এর আগে তিনি পাঞ্জাব ও হরিায়না সরকারকে বলেছিলেন এই খড় পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে যদি প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপানে কাজে লাগানো যায় তাহলে এর থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না।