নতুন দিল্লি, ৪ এপ্রিল: দেশে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিঘি জামাত (Tablighi Jamaat)। এখানে অংশ নেওয়া বেশিরভাগের শরীরেই মিলেছে করোনাভাইরাস। আর তার কারণে এই ধরনের জমায়েত করা নিয়ে চলছে জোর সমালোচনা। গোটা ঘটনায় এবার সরব হলেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)। তাবলিঘি জামাতকে নিষিদ্ধ করা উচিত বলে দাবি জানালেন এই লেখিকা। টুইটে তিনি লেখেন, "তাবলিঘি জামাতের ঔদাসীন্যতার কারণে অনেক লোক সংক্রামিত হয়ে মরে যেতে বসেছে। এই সংগঠনটি এক শতাব্দী ধরে অজ্ঞতা এবং মৌলবাদ প্রচার করে আসছে। মানবতার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার জন্য তাবলিঘি জামাতকে নিষিদ্ধ করা উচিত।"
মার্চের শেষের দিকে টুইট করে নিজামুদ্দিনের জমায়েতের প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তসলিমা। সেদিন টুইটে তিনি দাবি করেন, তাবলিঘি জামাতের প্রতিষ্ঠা হয়েছে হরিয়ানায়। ১৫০টি দেশের লোকজন এতে অংশ নেয়। উজবেকিস্তান, কাজাখাস্তান, তাজাকিস্তানের মতো দেশ এই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। জামাতের সঙ্গে পরোক্ষে যোগ রয়েছে সন্ত্রাসবাদের।" আরও পড়ুন: Raj Thackeray On Tablighi Jamaat: তাবলিঘি জামাত অংশ নেওয়া লোকজনকে গুলি করা উচিত: রাজ ঠাকরে
So many people have to be infected and be dead because of the callousness of tablighi jamaat. This organization has been spreading ignorance & fundamentalism for a century. Tablighi Jamaat should be banned for cruelty against humanity.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) April 4, 2020
এর আগে তাবলিঘি জামাত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে। "দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিঘি জামাতে অংশ নেওয়া লোকজনকে গুলি করা উচিত।" আজ এ কথা বললেন রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। শনিবার তিনি এক বিবৃতিতে কথা বলেছেন। ফেসবুকে এক বিবৃতিতে রাজ ঠাকরে লেখেনে, "দিল্লিতে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। তাদের কেন চিকিত্সা করা হবে? তাদের গুলি করা উচিত। আমাদের দেশে এত বড় সংকট চলছে এবং এমন সময়ে তারা ধর্মকে দেশের ঊর্ধ্বে রেখে চলেছে?" এমএনএস সভাপতি আরও যোগ করেছেন, "যদি এই নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করে তবে তাদের এক জায়গায় করে নিকেশ করা হোক। শারীরিকভাবে মারাত্মকভাবে আঘাত করা উচিত। এবং সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রীকেও এই ঘটনা সম্পর্কেও কথা বলতে হবে।"