সোমেন মিত্র-র ইস্তফা। (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ৯ জুলাই: Somen Mitra Submits Resignation- প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সোমেন মিত্র (Somen Mitra) । লোকসভা ভোটে রাজ্যে কংগ্রেসের বড় ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরলেন 'ছোড় দা'। গত রবিবার মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরেছিলেন মিলন্দ দেওরা। সেই দিন, মানে রবিবারই AICC-র কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন সোমেন। এখনও তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি বলে খবর। রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পরই একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস সভাপতিরা দায়িত্ব ছাড়ছেন। কংগ্রেসের সেই ইস্তফার ঝড় এবার বাংলাতেও আছড়ে পড়ল।

এর আগেও ১৯৯৮ সালে, বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছিলেন তিনি। পদত্যাগ করার পর সোমেন জানালেন, ''রাহুল গান্ধীর কথাতেই দায়িত্ব নিয়েছিলাম, উনিই যখন কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন আমারও প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব আঁকড়ে থাকার কোন মানে হয় না।''রাহুল গান্ধীর পদত্যাগ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেও মনে করেছেন সোমেন। আরও পড়ুন- চিটফান্ডে কাণ্ডে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-কে তলব ইডি-র

অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে লোকসভা নির্বাচনের মাস পাঁচেক আগে রাহুল গান্ধী অনেক আশা নিয়ে সোমেন মিত্রকে বাংলায় হাত মজবুতের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। রাহুলের লক্ষ্য ছিল দাপুটে সোমেনকে এনে রাজ্যে দুই ফুলের দাপাদাপি রুখে দেবেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ অধীর চৌধুরী, আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)-র ব্যক্তিগত ক্য়ারিশ্মা ছাড়া কংগ্রেস পশ্চিমবাঙলায় সাইন বোর্ডে পরিণত হয়েছে। এত বড় ব্যর্থতার পর সোমেনর পদত্যাগ সময়ের অপেক্ষা ছিল বলেই মনে করা হচ্ছিল। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে সাংসদ হওয়া সোমেন মিত্র ফের দিদিকে ছেড়ে হাতের আশ্রয়ে ফিরেছিলেন। এক সময় রাজ্যের দাপুটে এই নেতাকে রাহুল ভরসা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও করেছিলেন। কিন্তু এবার একেবারে ব্যর্থ হলেন সোমেন। দক্ষিণ বঙ্গে তো পুরো ভরাডুবি হয়েইছে, উত্তরবঙ্গেও কংগ্রেস হারিয়ে গিয়েছে।

গতবার লোকসভায় রাজ্যে চারটি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। দুটি আসনে জয়ের খুব কাছাকাছি ছিল। কিন্তু এবার সবতেই ব্যর্থতা। রাজ্যে কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হিসেবে সর্বকালীন খারাপ জায়গায় গিয়েছে। বছর দুয়েক পরেই রাজ্যে বিধানসবা নির্বাচন। এখন মমতা ব্যানার্জি বেশ কোণঠাসা। বিজেপিতে যাতে মমতা বিরোধী আন্দোলনে ফাঁকা জমি না পেয়ে যায় সেটা নিশ্চিত করতে কংগ্রেসকে খুব তাড়াতাড়ি ঝাঁপাতে হবে। সোমেনের পর কাকে দায়িত্বে আনা হয় সেটাই দেখার।