হায়দরাবাদ, ২৪ আগস্ট: করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিল তেলেঙ্গানা (Telangana) সরকার৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এই প্রসঙ্গে বলেন, আগামী ১ তারিখ থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পুনরায় খুলবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও৷ শহর ও গ্রামের সমস্ত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পর্যন্ত সবকিছু যাতে এক তারিখে খুলে যায় আধিকারিকদের সেরকমই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে ৩০ আগস্টের মধ্যে সমস্ত স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হস্টেলগুলিতে যেন ৩০ আগস্টের মধ্যে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়৷ এই মর্মে পঞ্চায়েতরাজ তথা পুর প্রশাসক মন্ত্রী-সহ সমস্ত শিক্ষাধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷
শিক্ষামন্ত্রী পি সবিতা ইন্দ্র রেড্ডি, পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রী ই দয়াকর রাও, সাংসদ কে কেশব রাও, সরকারি মুখ্য উপদেষ্টা রাজীব শর্মা, মুখ্যসচিব সোমেশ কুমার, মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নরসিং রাও এবং অন্যান্য় আধিকারিকরা বৈঠকে অংশ নেন৷ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “করোনা মহামারীর কারণে সবথেকে ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষাক্ষেত্র৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকায় পড়ুয়া, অভিভাবক, শিক্ষক, এবং শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যরা এবং সহয়োগী সংস্থাগুলির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷” ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে৷ সেই সব রাজ্য থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই তেলেঙ্গানায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে৷ আরও পড়ুন-Afghanistan Crisis: ‘আমাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে সবথেকে ভাল বন্ধু ভারত’, আফগান পপ তারকা আরিয়ানা সাইদ
বৈঠকে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক রাজ্যের সর্বশেষ কোভিড পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়েছেন৷ তাঁরাই জানিয়েছেন, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আসায় সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে৷ এই বৈঠকে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক জানান, করোনার কারমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবথেকে ক্ষতির মুখে পড়েছে স্কুল পড়ুয়ারা৷ তাদের মানসিক সমস্যা হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যতে বিরাট প্রভাব ফেলবে৷ এসব দেখেশুনেই সমস্তরকম আলাপ আলোচনার পর সবকম সুরক্ষার ব্যবস্থা করে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর নির্দেশ দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে পুর এলাকার স্কুল কলেজের পরিচ্ছন্নতা দেখতে হবে প্রশাসককে৷ আর পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষেত্রে গ্রামের প্রধানকে এই কাজের দায়িত্ব নিতে হবে৷
যদি স্কুল খোলার পর পড়ুয়ারা অসুস্ত হয় তাহলে তাদের শারীরিক যত্নের দিকে নজর দেবেন প্রধান শিক্ষক৷ স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে৷