অযোধ্যা, ১৯ আগস্ট: রাম মন্দিরের পুরোহিত থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দিল উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অযোধ্যা বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির কবে হবে, তানিয়ে দ্বন্দ এখনও তুঙ্গে সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্ট মামলার শুনানিতে ভগবান রামের বংশধরের সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজস্থানের বিজেপি এমপি দিয়া কুমারী নিজেকে কুশের বংশধর হিসেবে পরিচয় দেন। এমনকী, তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযোগ্য প্রমাণ দাখিলের আশ্বাসও দিয়েছেন। এককথায় চর্চায় রয়েছে রামমন্দির ইস্যু। ঠিক সেই সময়ই রামমন্দিরের পুরোহিত থেকে যাবতীয় যতজন কর্মী রয়েছেন, তাঁদের সকলের বেতন বেড়ে গেল। রামলালার মন্দিরে পূজিত হন শিশু রাম।
এই রামলালার মন্দিরের মাসিক খরচ বাবদ এতদিন উত্তরপ্রদেশ সরকার দিত ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এখন সেই বেতন বৃদ্ধি পেয়ে হল ৩০ হাজার টাকা। মন্দিরের দেখভাল করেন পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস (Satyendra Das)। তাঁর বেতন মাসে ১৩ হাজার টাকা। যদিও বেসিক হিসেবে পুরোহিতের পকেটে যাবে আট হাজার ৪৮০ টাকা। এই সত্যেন্দ্র দাস বাবরি মসদিজ ভাঙার সময় থেকেই রাম লালার মনদ্দিরের দেখবাল করে আসছেন। ১৯৯২ সালের পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে, সত্যেন্দ্র দাসকিন্তু একদিনের জন্যও নিজের দায়িত্ব ভুলে যাননি। এখন বরং অযোদ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরি হলেও, তার দায়ভারও যে সত্যেন্দ্র দাসের উপরেই পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু কেয়ারটেকার পুরোহিতই নন, নতুন মন্দির যাঁরা তৈরিতে কাজ করছেন, তাঁদেরও বেতনের পরিমাণ বাড়ছে। আগামী মাস থেকে রীতিমতো প্রত্যেকেই অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে বেতন বাবদ পাবেন। বেতনের স্তর সাধারণত থাকছে সাত হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ভোগের জন্য মাসিক বরাদ্দ আরও ৮০০ টাকা বেড়েছে। আরও পড়ুন-JNU থেকে MNU! 'জেএনইউ' পাল্টে নরেন্দ্র মোদি-র নামে রাখা হোক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বিজেপি সাংসদ হংস রাজ হংসের দাবিতে বিতর্ক
এদিক বেতন বাড়তে বেজায় খুশি সত্যেন্দ্র দাস জানালেন, প্রথম যখন রাম লালার মন্দিরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন তাঁর বেতন মাসে ছিল ১৫০ টাকা। তারপর ধীরে ধীরে সেই অঙ্কের বদল ঘটেছে। তবে যোগী আদিত্যনাথের আমলেই তাঁর বেতন সব থেকে বেশি বেড়েছে। তবে এর থেকে সামান্য কম বাড়লেও দুঃখ পেতেন না। চলতি বছরের জুলাইতেই রাজ্য সরকারকে রাম লালার মন্দিরের কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর ন্য সবাই মিলে লিখিত অনুরোধ করেছিলাম। তারই ফল মিলল, বেতন যে বাড়ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি অনুমোদন পেয়েছি। সরকার আমাদের কথা রেখেছে। পাঁচদিন হল সেই অনুমতিপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এই প্রসঙ্গে অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনার মনোজ মিশ্র (Manoj Misra) বলেছেন, রামলালার মন্দিরের কর্মীদের বেতন বাড়ির বিষয়টি রাম-মন্দির ইস্য়ুতে সুপ্রিমকোর্টে চলা মামলার উপরে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। এই বেতন আসলে রামলালার মন্দিরের দেখভালের খরচ, প্রসাদ, বৈদ্যুতিক খরচ, এছাড়াও অন্যান্য খরছের জন্যই কাজে লাগবে।