JNU থেকে MNU! 'জেএনইউ' পাল্টে নরেন্দ্র মোদি-র নামে রাখা হোক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম,  বিজেপি সাংসদ হংস রাজ হংসের দাবিতে বিতর্ক
বিজেপি সাংসদ হংস রাজ হংস ও জেএনইউ। (Photo Credit: ANI/PTI)

নয়া দিল্লি, ১৮ অগাস্ট: নরেন্দ্র মোদি-র নামেও তো কিছু রাখতে হবে। তাই 'জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি' বা 'JNU'-র নাম বদলে 'MNU' বা মোদি ইউনিভার্সিটি রাখা হোক এমন দাবিই তুললেন বিজেপির তারকা সাংসদ হংস রাজ হংস। জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু, ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা, ঘুরিয়ে জওহরলাল নেহরুর সমালোচনা করতে গিয়ে শেষ অবধি তারকা এই গায়ক-সাংসদ JNU-র নাম বদলে মোদির নাম রাখার দাবিতে বক্তব্য শেষ করেন।

ভূ স্বর্গে এবার শান্তি ফিরুক, বোম না পড়ুক। এমন আশা করার পর জম্মু-কাশ্মীরের যাবতীয় অশান্তি আগের সরকারের নীতির কারণে হয়েছে বলে জানিয়ে হংস রাজ হংস বলেন, আমি বলছি JNU-র নাম MNU রেখে দাও । কারণ মোদিজি এত ভাল কাজ করছেন। ওনার জন্য়ও তো কিছু হওয়া উচিত।''

একেই শিক্ষায় গেরুয়াকরনের অভিযোগে বিদ্ধ বিজেপি। তার ওপর দেশের এত বড় একটা ঐতিহ্য়শালী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নাম বদলের দাবি তুলে বিতর্ক ডেকে আনলেন এই বিজেপি সাংসদ। আরও পড়ুন-2জি মোবাইল পরিষেবা ফিরল জম্মু সহ পাঁচ জেলায়, বিধানসভার জন্য ডিলিমিটেশনের পরিকল্পনা কেন্দ্রের

২০১৯ লোকসভার আগে বিজেপি-তে যোগ দেন বিখ্যাত গায়ক হংস রাজ হংস। এরপর তিনি উত্তর পশ্চিম দিল্লি থেকে জিতে এসে সাংসদ হন। ২০০৯ সালে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেন। শিরোমানি অকালি দলের হয়ে জলান্ধর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়েন তিনি। অকালি দল ছেড়ে ২০১৬ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। কয়েক মাস যেতে না যেতে ফের দলবদল করেন তিনি। এরপর তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিটে হংস রাজ হংস জেতেন প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে।

ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ধরা হয় জেএনইউ-কে। ১৯৬৯ সালের ২২ এপ্রিল স্থাপিত হয় ঐতিহ্যসম্পন্ন এই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের। নয়া দিল্লির প্রায় হাজার একর জমিজুড়ে তৈরি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। JNU-তে প্রায় আট হাজার ছাত্র পড়াশোনা করেন। যাদের মধ্যে স্নাতক স্তরে ৯০৫ জন, স্নাতকোত্তর স্তরে ২,১৫০ জন, এবং ডক্টরাল ছাত্র ৫,২১৯ জন।