নতুন দিল্লি, ১ মার্চ: মাস পয়লার প্রথমেই সুখবর। সোমবার সাত সকালের দিল্লি এইমসে কোভিড প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন নিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi Takes COVID-19 Vaccine) । আজ নরেন্দ্র মোদিকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হল। বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনাকে রুখতে যে লড়াই চলছে তাতে শামিল হয়ে দেশের যে ছিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা টিকা আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবলম্বন করেছেন তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টিকা নেওয়ার পরেই নিজে টুইটে সে খবর দেশবাসীকে জানান তিনি। লেখেন, “দিল্লির এইমসে করোনাভাইরাস প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ নিলাম। বিশ্বজুড়ে কোভিড তাড়াতে যে লড়াই চলছে তাতে আমাদের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা যে অবদান রেখেছেন তা উল্লেখযোগ্য। যাঁরা টিকা নিতে পারবেন, তাঁদের প্রতিষেধক নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। চলুন এক সঙ্গে কোভিড মুক্ত ভারত গড়ি।”
#WATCH: Prime Minister Narendra Modi took his first dose of the #COVID19 vaccine at AIIMS Delhi today. He was administered Bharat Biotech's COVAXIN. pic.twitter.com/VqqBYZDTFU
— ANI (@ANI) March 1, 2021
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর টুইট অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীকে ভারত বায়োটেকের কোভিড প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন পুদুচেরির চিকিৎসাকর্মী সিস্টার নিবেদিতা। আজ থেকেই ভারতে ৬০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হল। এই তালিকায় ৪৫ বছরের ঊর্ধে থাকা কোমর্বিডিটির রোগীরাও রয়েছেন। এর অর্থ হল আজ ১ মার্চ থেকে দেশে ৬০ বছর ও তারও বেশি নাগরিকরা বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতাল থেকে করোনা টিকা নিতে পারবেন। এই একই কাজে বেসরকারি হাসপাতালের গেলে কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে।
Took my first dose of the COVID-19 vaccine at AIIMS.
Remarkable how our doctors and scientists have worked in quick time to strengthen the global fight against COVID-19.
I appeal to all those who are eligible to take the vaccine. Together, let us make India COVID-19 free! pic.twitter.com/5z5cvAoMrv
— Narendra Modi (@narendramodi) March 1, 2021
একই সঙ্গে CO-WIN নামের এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক ডেলিভারির রিয়েল টাইম মনিটারিং হবে। যাঁরা প্রতিষেধক নিতে চান তাঁরা এই CO-WIN-এ নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। তবে অনলাইনে ছাড়াও সামনা সামনা করোনার প্রতিষেধক পেতে নাম নথিভুক্তি করণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া যায়। এই কাজের জন্য রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। মূলত যাঁরা টেকস্যাভি নন, তাঁদের জন্যই এই বন্দোবস্ত।