নতুন দিল্লি, ৫ ফেব্রুয়ারি: অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট (Ram Temple Trust) গঠন করছি। রাজধানীর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের দাঁও মারতে মাঠে নেমে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। হিন্দুত্বের জিগির তুলে সিএএ আনতে গিয়ে রাজধানীতেই সবথেকে বেশি বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। এখনও চলছে তার জের। তার উপরে রামভক্তরা বিজেপি নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যে অনুপ্রাণীত হয়ে কখনও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া তো কখনও শাহিন বাগে বন্দুকে ঔদ্ধত্য উসকানিতে আগুন জ্বালাচ্ছে। এমতাবস্থায় সেই রামমন্দির আবেগকে উসকে দিয়ে ফের ভোটের বৈতরণী পেরিয়ে যেতে আসরে নেমে পড়লেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন লোকসভায় তিনি জানান, সুপ্রিম রায় মেনেই রামমন্দির তৈরির জন্য তাঁর সরকার ট্রাস্ট গঠন করতে চলেছে।
মোদি বলেন, “আমার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট গঠিত হবে। তারা রামমন্দির নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যায় একখণ্ড জমি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। আর চার মাসের মধ্যে অযোধ্যায় আকশছোঁয়া রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আসুন সকলে অযোধ্যায় বিশাল রামমন্দির নির্মাণকে সমর্থন করি।” প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শুনে সরকার পক্ষের সাংসদরা স্লোগান দেন, “জয় শ্রীরাম। গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যা নিয়ে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাতে বলা হয়, অযোধ্যায় মসজিদ কোনও ফাঁকা জমির উপর নির্মিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, পুরাতত্ত্ব বিভাগ তাদের যে রিপোর্টে জানিয়েছিল, ওই বিতর্কিত জমিতে তার আগে একটি কাঠামো ছিল। যা সম্ভবত দ্বাদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। তবে মন্দিরই ছিল কিনা তা পুরাতত্ত্ব বিভাগ স্পষ্ট করে জানায়নি। আরও পড়ুন-Male Troops Of The Indian Army: পুরুষবাহিনীর মতে সেনাবাহিনীর কম্যান্ডিং পোস্টে মহিলা কম্যান্ডাররা উপযুক্ত নন, সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র
এদিকে ভোটের দু’দিন আগে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে ঘোষণা করে নরেন্দ্র মোদি কি আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন? এর আগে ঝাড়খণ্ডে ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপির তৎকালীন সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, আর চার মাসের মধ্যে অযোধ্যায় একটি ‘আকাশছোঁয়া’ রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।