
প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে রাখুন ফ্ল্যাক্স সিড, এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা‑৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। হার্ট কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত ফ্ল্যাক্স সিড সেবন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে ফ্ল্যাক্স সিড আমাদের পাচনতন্ত্রকে ঠিক রাখার গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা উচ্চমানের ফাইবার খাদ্যের হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ফ্ল্যাক্স সিড কেবল আপনার পাচন্তন্ত্র কেই সুস্থ রাখে না, এটি আপনাকে দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি ও ধৈর্যশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সমাধানেও ফ্ল্যাক্স সিড উল্লেখযোগ্য। এতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে, ফলে আপনার ত্বক সতেজ ও কোমল থাকে। চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এই বীজ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে
তবে, মনে রাখা উচিত যে, প্রতিটি উপাদানের মতো তিসি বীজের অতিরিক্ত ব্যবহার কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা তৈরি করতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বা নিয়মিত পরিমাণে ব্যবহার করা শ্রেয়।
১. গ্রাইন্ড ফ্ল্যাক্স সিড: সুস্থতার জন্য ফ্ল্যাক্স সিড ব্যবহার করার প্রথম ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এগুলোকে গ্রাইন্ড করা। একটি ছোট গ্রাইন্ডার বা ব্লেন্ডারের মাধ্যমে বীজগুলোকে গুঁড়ো করুন। প্রতিদিন প্রায় এক চামচ গ্রাইন্ড ফ্ল্যাক্স সিড আপনার ওমেগা‑৩, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে সাহায্য করবে। এই গুঁড়োটিকে আপনি সকালে ওটমিল বা দুধের সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন।
২. স্মুদি ও ইয়োগার্টে যোগ: স্মুদি বা ইয়োগার্ট আপনার সকালের জন্য এক স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে। এদের মধ্যে সামান্য গ্রাইন্ড ফ্ল্যাক্স সিড যোগ করলে এর স্বাদ ও পুষ্টির মান আরও উন্নত হয়। এতে আপনার শরীর শক্তি পায় এবং হজম প্রক্রিয়াও নিয়মিত থাকে।
৩. রান্না ও বেকিংয়ে: রান্না করার সময়, রুটি, ব্রেড বা প্যানকেকের মধ্যে ফ্ল্যাক্স সিড মিশিয়ে দিতে পারেন।
সংরক্ষণ ও সতর্কতা: গ্রাইন্ড ফ্ল্যাক্স সিড বাতাস ও আলোতে সংবেদনশীল, তাই এগুলোকে এক এয়ারটাইট কনটেইনারে বরফ কিংবা ফ্রিজের মধ্যে রাখতে হবে। এতে ফ্ল্যাক্স সিডের পুষ্টিগুণ দীর্ঘদিনের জন্য বজায় থাকবে।