মুম্বই, ১১ নভেম্বর: ৯ তারিখ পেরিয়ে গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সময়সীমা শেষ। এমতাবস্থাতেও জোট শরিক বিজেপি শিবসেনার দ্বৈরথ কিন্তু কমার বদলে চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন মুম্বই দক্ষিণ কেন্দ্রের শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওন্ত। তিনি নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের মন্ত্রিসভায় ভারীশিল্পের মন্ত্রী ছিলেন। গত মে মাসে বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে জয়ী সাংসদ ও জোট শরিক হিসেবে সাওন্তকে এই মন্ত্রীত্ব দেয় বিজেপি সরকার। সোমবার সাত সকালেই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অরবিন্দ জি সাওন্ত (Arvind G Sawant) বলেছেন, “আমি নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলাম। আমি আর ভারী শিল্পের মন্ত্রী নই।”
উল্লেখ্য, একদিন আগেই এনসিপি প্রধান (NCP Chief) শরদ পাওয়ার (Shrad Pawar) শিবসেনার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে যদি তাঁদের সহযোগিতা শিবসেনা চায়, তাহলে বদলে অনকে কিছুই করতে হবে। প্রথমত জোট শরিক বিজেপির সঙ্গে রাজ্যে এবং কেন্দ্রে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রশ্নে প্রায় ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে বিজেপির সঙ্গে দড়ি টানাটানিতে মেতেছে শিবসেনা (Shiv Sena)। এমন অবস্থা যে আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি থেকে উদ্ধব ঠাকরে সরবেন না, আর প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেই দাবি মানবেন না দেবেন্দ্র ফডনবিশ। ফলত একেবারে তু তু ম্যায় ম্যায় পরিস্থিতি থেকে শুরু করে ২৫ বছরের জোট ধর্মও মুহূর্তে ধূলিসাৎ হওয়ার পথে। আরও পড়ুন-TN Seshan Dies: প্রয়াত ভারতের ব্যাতিক্রমী প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশন
Union Minister of Heavy Industries and Public Enterprises & Shiv Sena MP Arvind Sawant: I am resigning from my ministerial post. pic.twitter.com/6UVYpXK6Sa
— ANI (@ANI) November 11, 2019
लोकसभा निवडणुकी आधी जागा वाटप आणि सत्ता वाटपाचा एक फॉर्म्युला ठरला होता. दोघांना तो मान्य होता.आता हा फॉर्म्युला नाकारून शिवसेनेला खोटे ठरवण्याचा प्रकार धक्कादायक तसेच महाराष्ट्राच्या स्वाभीमानास कलंक लावणारा आहे. खोटेपणाचा कळस करत महाराष्ट्रात भाजपाने फारकत घेतलीच आहे.. 1/2
— Arvind Sawant (@AGSawant) November 11, 2019
বিজেপি সরকার গঠন করলে ক্ষমতার মূলেই থাকবে, এদিকে শিবসেনা আর বোকা বনতে রাজি নয়। তাই রবিবার বাধ্য হয়েই পিছু হটল বিজেপি। এমতাবস্থায় মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি শেষপর্যন্ত শিবসেনাকেই অনুরোধ করলেন। এদিকে সবথেকে বেশি ভোট পেয়ে রাজ্যে এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু জোট নাহলে একা তার পক্ষে যেমন সরকার গঠন সম্ভব নয়, তেমনই শিবসেনাও এনসিপি কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া সরকার গড়তে পারবে না।