নীতীশ কুমার (Photo Credits: IANS)

পাটনা, ১৩ জানুয়ারি: সিএবি-কে সমর্থন করেছিলেন সংসদে। তাই সিএএ তৈরিতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। তবে এনআরসি নিয়ে আর খাঁটি জোট শরিকের ভূমিকা পালন করতে নারাজ জেডিইউ। ‘এনআরসি যুক্তি, এটি বলবৎ হতে পারে না। তবে সিএএ নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে।’ সোমবার বিহার বিধানসভায় অকপট স্বীকারোক্তি জেডিইউ প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)। যদিও এর  আগেই অবশ্য নীতীশ জানিয়েছিলেন যে, তাঁর রাজ্যে (NRC) হচ্ছে না। এ বার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই মন্তব্যে সরকারি শিলমোহর দিলেন তিনি। বিহার বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশনে NRC নিয়ে সরব হয়েছিল লালু প্রসাদ যাদবের দল (RJD) ও বামেরা।

আগেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসি-র বিরোধিতায় মুখ খুলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহারে এনআরসি হবে না। এবার তাঁর দল জেডিইউ জানিয়ে দিল, যতক্ষণ না সবরকম ধোঁয়াশা কাটাতে পারছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ততক্ষণ পর্যন্ত বিহারে এনপিআর হবে না। JDU-র তরফে ২ নম্বরে থাকা পোল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর বারবারই CAA ও NRC-এর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। রবিবারই তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, 'সবাইকে আশ্বস্ত করে জানাই যে, বিহারে কোনও CAA বা NRC বাস্তবায়িত হচ্ছে না।' আরও পড়ুন-Walmart Fires 56 India Executives: নতুন বছরেই মন্দার ফাঁড়া, ৫৬ জন একসিকিউটিভকে ছাঁটাই করে ভারত ছাড়ছে ওয়ালমার্ট

এদিকে উত্তরপ্রদেশ কিন্তু ইতিমধ্যে সিএএ  CAA বাস্তবায়নে তত্‍‌পর হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের সরকার প্রথম রাজ্য হিসেবে আগেই নাগরিকত্ব আইন চালু করেছে উত্তরপ্রদেশে। এবার সেই প্রক্রিয়ায় আরও তত্‍‌পরতা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে শরণার্থীদের একটি তালিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে।  পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের শরণার্থীদের সেই তালিকায় অধিকাংশই হিন্দু। রাজ্যের ১৯টি জেলার সবিস্তার রিপোর্ট তৈরি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তার নাম দেওয়া হয়েছে, 'উত্তরপ্রদেশ মে আয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান আভেম বাংলাদেশ কে শরণার্থীয়ো কি আপবিতি কাহানি।' এই রিপোর্টে শরণার্থীদের ব্যক্তিজীবনও তুলে ধরা হয়েছে বলে খবর। এককথায় সিএএ কার্যকরী করা নিয়ে সেখানে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে