Manmohan Singh Wanted Citizenship Amendment Act?:  রাজ্যসভায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব চাইছেন মনমোহন সিং?  ভিডিও ভাইরাল
মনমোহন সিং(Photo Credit: Getty Images)

নতুন দিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর:  এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) স্বপক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডক্টর মনমোহন সিংয়ের (former Prime Minister Manmohan Singh) একটা পুরনো বক্তব্যের ভিডিওকে হাতিয়ার করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ভিডিওটি ২০০৩ সালের। তখন কংগ্রেস বিরোধী শক্তি। ক্ষমতায় বিজেপি রয়েছে। ভিডিওটিতে সংসদের স্পিকারের সামনে মনমোহন সিংকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে দেশভাগের পর বাংলাদেশের মতো দেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিজেপি এদিন এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যে স্পষ্ট যে তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছেন। বর্তমান বিজেপি সরকার সেই নাগরিকত্বই দিতে চেয়ে আইন পাস করিয়েছে।

ধর্ম রক্ষার্থে পাকিস্তান আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যেসব সংখ্যালঘুরা বাধ্য় হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে তাদেরই নাগরিকত্ব দেবে এই নয়া আইন। এই নয়া আিনে নাগরিকত্ব পাবে ছয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তবে এই ছয়ের তালিকায় নেই মুসলিমরা। এরপরেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সরব গোটা দেশ। এই আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তীব্র বিরোধিতার পথে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু জানেন কি, ২০০৩-এ ইউপিএ জমানায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চেয়েছিল খোদ কংগ্রেস? এই বিষয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন তত্‍কালীন বিরোধী দলনেতা মনমোহন সিং। দেশজুড়ে যখন সার্বিক বিক্ষোভ বিদ্যমান তখন গদি বাঁচাতে মনমোহন সিংয়ের পুরোনো ভিডিও ক্লিপিংস প্রকাশ করে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে শাসক বিজেপি। আরও পড়ুন-Internet Blocked In Parts Of Delhi: দিল্লির অনেকাংশে চলছে না ইন্টারনেট, বন্ধ এসএমএস, সরকারি নির্দেশিকা উঠলেই পরিষেবা চালুর আশ্বাস এয়ারটেলের

বৃহস্পতিবার এনিয়ে রাজ্যসভার একটি আর্কাইভ ভিডিও প্রকাশ করেছেন বিজেপিআইটি সেলের ন্যাশনাল ইনচার্জ অমিত মালব্য। ২০০৩-এ রাজ্যসভার অধিবেশনের সেই ভিডিওটিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কে বলতে শোনা গিয়েছে, “ম্যাডাম স্পিকার আমি শরণার্থীদের বিষয়ে কিছু বলতে চাই। দেশভাগের পর বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, তবে আমাদের উচিত সেই হতভাগ্য মানুষগুলোকে নাগরিকত্ব দেওয়া।”