Maharashtra Government Formation:  শিবসেনার সরকার গঠনে সঙ্গ দেবে কে, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে বৈঠকে বিজেপি-এনসিপি-কংগ্রেস
সোনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ার, অমিত শাহ ও দেবেন্দ্র ফডনবিশ(Photo Credit: PTI)

মুম্বই, ১১ নভেম্বর: মহারাষ্ট্রে জোট থেকে বিজেপি (BJP) সরে দাঁড়ানোয় সরকার গড়তে শিবসেনাকে ডেকেছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Bhagat Singh Koshyari)। এমতাবস্থায় বিরোধী কংগ্রেস, এনসিপি ও বিজেপি ঠিক কী ভূমিকা নেবে তা এখনও স্পষ্ট নাহলেও আজ এই চারটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসতে চলেছেন। এককথায় এই রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্তের উপরেই ঝুলে থাকল মহারাষ্ট্রের ভাগ্য। এদিকে বিজেপির বিরোধিতা মূল লক্ষ্য হলেও রাজ্যে শিবসেনার সঙ্গে সরকার গঠনে মোটেও আগ্রহী নয় এনসিপি (NCP) কংগ্রেস। বরং দেবেন্দ্র ফডনবিশকে সরকার গড়তে আহ্বানও জানিয়েছিল বিরোধীরা। তবে গতকাল বিজেপি আচমকা জোট থেকে সরে এলে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যায়।

এদিনই মোদি সরকারের একমাত্র শিবসেনা মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শিবসেনার আশা, এনসিপি ও কংগ্রেস তাদের  সমর্থন করবে। তাই তারা এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসেছে। শরদ পাওয়ার বলেছেন, “আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেই শিবসেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।” এমনিতে মতাদর্শগতভাবে কংগ্রেস ও শিবসেনা দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থিত। শিবসেনা বরাবর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করে এসেছে। কংগ্রেসেরও বিরোধিতা করেছে কয়েক দশক ধরে। এখন শিবসেনাকে যদি কংগ্রেসের সমর্থন নিতে হয়, তাহলে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করতে হবে। তার ভিত্তিতে হয়তো শিবসেনা নেতৃত্বাধীন কোনও সরকারকে সমর্থন করবে শিবসেনা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের (AICC) অন্দরে শুরু হয়েছে আলোড়ন। আদৌ শিবসেনাকে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে সমর্থন করা হবে কি না তা ঠিক করতে দিল্লিতে কোর কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। আরও পড়ুন-Shiv Sena's Arvind Sawant Resigns: জোটে নেই বিজেপি, তাই সরকার গড়তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ শিবসেনা সাংসদের

এদিকে এখনও শরদ পাওয়ারের এনসিপি এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। মূলত দেখে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে। আজ দিল্লিতে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির কোর কমিটির বৈঠকে বসতে চলেছেন শরদ পাওয়ার-সহ সুপ্রিয়া সুলে, প্রফুল্ল পটেল, জয়ন্তী পাটিল, অজিত পাওয়ার। সেই বৈঠকেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হতে চলেছে। এদিকে পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রবল। ফের ভোট হলে বিজেপির জোটধর্ম রক্ষা না করাকেই ইস্যু করবে শিবসেনা। জোট শরিককে ঠকিয়ে ক্ষমতা দখলের ঘটনাকে ইস্যু করতে চাইছে শিবসেনা। অন্যদিকে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। এবার ভোট হলে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিকেই ঝাঁপাবে দেবেন্দ্র ফডনবিশের অনুগামীরা।