কলকাতা, ২মে: রাজ্যে ফুল বদলের হিড়িক পড়েছে। সৌমিত্র রায় (Soumitra Roy), অনুপম হাজরা (Anupam Hazra), অর্জুন সিং (Arjun Singh) -একের পর এক তৃণমূল নেতা-সাংসদ-বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলত্যাগের হিড়িকে তৃণমূল যে চাপে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতারা বলছেন, দলত্যাগের এই তো সবে শুরু। আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকজন বড় মাপের তৃণমূল নেতা নাকি বিজেপিতে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) শ্রীরামপুরে নির্বাচনী জনসভায় এসে বলে গিয়েছেন তৃণমূলের ৪০জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মোদীর এই দাবি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। রাজ্য বিজেপি-তে মুকুল রায় (Mukul Roy)-এর দায়িত্ব নাকি অন্য দলের বিক্ষুব্ধদের বিজেপিতে আনা। মুকুল সেই কাজটা দক্ষতার সঙ্গে করছেন বলে কেন্দ্রীয় বিজেপির খাতায় তার নম্বর ক্রমশ বাড়ছে।
এদিকে, নরেন্দ্র মোদীর থেকে একধাপ এগিয়ে তৃণমূল ত্যাগী তথা ব্যারাকপুরে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের দাবি, তৃণমূলের ৬০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ২৩মে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন। অর্জুনের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ৪০ জনের কথা বলে গিয়েছেন আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ৬০ জন মিলে দাঁড়াচ্ছে ১০০ জন। এঁরা সকলেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন।
রাজনৈতিক গবেষকরা বলছেন, অনেক কিছু নির্ভর করছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election) ফলের ওপর। মোদী যদি ব্যাপক ভোটে জিতে এসে ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসেন, তাহলে তৃণমূলে আরও ভাঙন নিশ্চিত। তবে মোদী যদি ক্ষমতায় ফিরতে না পারেন, তাহলে উল্টে দিকে বইতে পারে ফুল পরিবর্তনের হাওয়া। এমনও হতে পারে যে সব বড় মাপের তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন তারা আবার তৃণমূলে ফিরবেন। সব কিছুই নির্ভর করছে ২৩মে-র ওপর। শুধু দিল্লির সিংহাসন নয়, আগামী দিনে রাজ্যের গদির লড়াইও পরোক্ষভাবে ঠিক হয়ে যেতে পারে ওই দিন।