লোকসবায় পারবেশ ভার্মা (Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৯ নভেম্বর: দূষণে জর্জরিত দিল্লির এই বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লোকসভায় রাজধানীর দূষণ সম্পর্কিত আলোচনার সময় এভাবেই আপ সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ পারভেশ সাহিব সিং ভার্মা (Parvesh Sahib Singh Verma)। এরপর কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্যের প্রতি কটাক্ষ করে ভার্মা বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে একা একা কাশতেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন তাঁর বদান্যতায় গোটা রাজধানীই কাশছে। তিনি গত পাঁচ বছরে দিল্লিকে কি দিয়েছেন? একমাত্র বিনামূল্যে রাজধানীর প্রতি কেজরিওয়ালের দান বায়ু দূষণ। যার কবলে পড়ে দিল্লি ধুঁকছে। কোনও কোনও দিন এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দূষণমাত্রা ৯৯৯ পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলছে। মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে। লোকসভায় গর্জে উঠলেন বিজেপি সাংসদ।

এদিকে গতকালই দূষণ কাটিয়ে আলোর মুখ দেখেছিল দিল্লি। টানা তিন সপ্তাহের দম বন্ধ আবহাওয়ার পর ঝক ঝকে আকাশের মুখ দেখল রাজধানী। সোমবার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের রিপোর্ট বলছে দুসপ্তাহ ধরে যে বিপজ্জনক মাত্রার দূষণে ঢাকা ছিল দিল্লি, সেই তুলনায় আজ অনেকটাই ভাল। মানুষ খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছে। তাই গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতির (Odd-Even scheme) স্কিম আর চালুর দরকার নেই। মূলত দূষণা মাত্রা কমাতই রাজধানীতে গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতি চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (CM Arvind Kejriwal)। দিল্লির সরকারের পক্ষে গোটা রাজধানীও উপকণ্ঠের দূষণ ঠেকানো সম্ভব নয়, তা স্বাভাবিক ব্যাপার। এসব জেনেও কেন নিরুত্তাপ কেন্দ্র, তানিয়েও প্রশ্ন তোলে দেশের শীর্ষ আদালত। সে যাইহোক আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে দিল্লির দূষণমুক্ত আকাশের খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: আর জোড়-বিজোড় নীতির দরকার নেই রাজধানীর আকাশ এখন ঝকঝকে, সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন কেজরিওয়াল

দিন দুয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল জোড়-বিজোড় নীতি দিল্লির দূষণকে ঠেকাতে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা নেবে না। তবে রবিবার থেকে তাপমাত্রা হঠাৎ কমতে থাকায় দূষণের মাত্রাও নামতে শুরু করেছে। উত্তুরে হাওয়া এক্ষেত্রে বড়সড় ভূমিকা যে নিয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। নির্মল আবহাওয়ার কারণে আজ রাজধানীর স্কুলগুলিও খুলেছে। সেখানে পড়ুয়াদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।