Narendra Modi Security Breach (Photo Credits: Twitter)

চণ্ডীগড়, ৬ জানুয়ারি: গতকাল পঞ্জাবে (Punjab) দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে অবরোধের জেরে গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে ফিরে আসতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi)। নিরাপত্তায় গাফিলতির (Security Lapse) অভিযোগ উঠেছে। পঞ্জাব সরকার এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি (High-Level Committee) গঠন করেছে। তিনদিনের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। দুই সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহতাব গিল এবং স্বরাষ্ট্র ও বিচার বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অনুরাগ ভার্মা।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ত্রুটি নিয়ে বিতর্ক সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। সিনিয়র আইনজীবী মনিন্দর সিং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কাছে বিষয়টি উল্লেখ করে তদন্তের দাবি করেছেন। আদালত সিংকে আবেদনের কপি কেন্দ্রীয় সরকার ও পঞ্জাব সরকারকে দিতে বলেছে। আগামীকাল এই আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পড়ুন: PM Narendra Modi Security Lapse: পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ, রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ফিরোজপুর দলীয় সভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছবেন তিনি, এইরকমই ঠিক ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানবন্দর থেকে গাড়িতেই সড়কপথে রওনা দেন তিনি। ওই যাত্রাপথে একটি উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। কারণ, সেখানে লখিমপুরকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন কৃষকরা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির ইস্তফা দাবি করেছে বিজেপি। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "খারাপ আবহাওয়া এবং বিক্ষোভের কারণে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সফর বন্ধ করতে বলেছিলাম। তাঁর আকস্মিক রুট পরিবর্তনের কোনও তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি ছিল না। যদি কোনও নিরাপত্তা ত্রুটি থাকে, তাহলে আমরা তদন্ত করব। প্রধানমন্ত্রীর জন্য কোনও বিপদ ছিল না। গত একবছর ধরে কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছেন। আমি কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ করতে পারব না। আমরা গতরাতে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি, এরপরই তাঁরা আন্দোলন তুলে নিয়েছে। আজ, হঠাৎ করে কিছু আন্দোলনকারী ফিরোজপুর জেলায় জড়ো হয়েছিলেন।"